ফের আমেরিকার মসনদে বসছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৫৩৮ আসনের ইলেক্টোরাল কলেজের মধ্যে ম্যাজিক সংখ্যা ২৭০ পেরোতে পারলেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের রাস্তা মসৃণ হয়। ২০২৪-এর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইতিমধ্যেই তা পেরিয়ে গিয়েছেন তিনি।
জয়ের পর নিজ অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচের কনভেনশন সেন্টারে দলের সদস্য, সমর্থকদের মাঝে এক ভাষণ দেন ট্রাম্প।
ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জে ডি ভ্যান্স এবং তার ভারতীয়-আমেরিকান স্ত্রী উষা ভ্যান্সও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাথে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পের সন্তানেরা। এ সময় তাঁদের ধন্যবাদ জানান তিনি। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সন্তানদের প্রত্যেকের নাম উল্লেখ করেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁদেরকে ‘চমৎকার সন্তান’ বলে অভিহিত করেন ট্রাম্প।
বক্তব্যের একপর্যায়ে ট্রাম্প জানান, তার জয়ে আমেরিকায় স্বর্ণযুগের সূচনা হলো। পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন স্ত্রী মেলানিয়া। বক্তব্যের মাঝে স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভাষণের মাঝেই আটাত্তর বছর বয়সি ট্রাম্প যেন হয়ে উঠলেন ‘প্রেমিক’। পাশে দাঁড়ানো স্ত্রী মেলানিয়াকে কাছে টেনে নিয়ে গালে চুম্বন করলেন ট্রাম্প!
পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের পর ঘুষ দিতে তাঁকে বিষয়টি গোপন করতে চাপ দেয়ার অভিযোগে গত মে মাসে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় নিউ ইয়র্কের আদালতে।
সে সময় স্বামীর পাশে মোটেই ছিলেন না মেলানিয়া। এমনকী একসঙ্গে থাকছিলেনও না। ছেলে ব্যারনের সঙ্গে পাম বিচের বাসভবনে থাকছিলেন। বইও লিখে ফেলেছিলেন আমেরিকার এই ফার্স্ট লেডি।
এদিন স্ত্রীর লেখা সেই বইয়েরই প্রশংসা করে তাকে জড়িয়ে ধরে প্রকাশ্যে চুমু খান ট্রাম্প। তার লড়াইয়ে মেলানিয়ার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
ফার্স্ট লেডির মুখেও তখন লাজুক হাসি। (সম্প্রতি মেলানিয়ার লেখা স্মৃতিকথামূলক একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বইটির নাম ‘মেলানিয়া’। বইটিতে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নানা অজানা কথা উঠে এসেছে।)
ভাষণে সবার উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, এটি এমন একটি আন্দোলন ছিল যা আগে কেউ দেখেনি এবং সত্যি বলতে, আমি বিশ্বাস করি এটি ছিল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক আন্দোলন। এই দেশে এবং এর বাইরেও কখনও এরকম কিছু হয়নি এবং এখন এটি গুরুত্বপূর্ণ স্তরে পৌঁছতে চলেছে। কারণ আমরা আমাদের দেশকে নিরাময়ের লক্ষ্য নিয়েছি। সূত্র: এনডিটিভি