শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫,
৫ মাঘ ১৪৩১
ই-পেপার

শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
জাতীয়
১৯৫ ভিআইপির অবৈধ সম্পদ ও অর্থপাচার অনুসন্ধানে দুদকের একাধিক টিম
সাবেক মন্ত্রী-এমপি, আমলাসহ দুই শতাধিক ব্যক্তি আটকে যাচ্ছে দুদকের জালে, দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি
আবুল কাশেম:
Publish: Tuesday, 5 November, 2024, 8:23 PM  (ভিজিট : 111)

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী দুই শতাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি আটকে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জালে। ইতোমধ্যে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালত। একইভাবে ভিভিআইপি হিসেবে চিহ্নিত দুই শতাধিক প্রভাবশালী সাবেক মন্ত্রী,এমপি, মেয়র, আমলা, পুলিশ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ি ও রাজনৈতিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা কৌশলে সরকারি শত শত কোটি টাকা লুটপাটের মাধ্যমে রাতারাতি বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ অর্জন, বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের বেশ কয়টি টিম পুরোদমে মাঠে নেমেছে।

সূত্র মতে, ছাত্র জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে ভারতের দিল্লীতে আশ্রয় নিয়েছেন। এরপর রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেন এবং জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী পদত্যাগ করেন। গত ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্ধনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বতীকালীন সরকারকে শপথবাক্য পাঠ করান  রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর দুকের কর্মকর্তারা রাতারাতি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী ও চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের ধরার জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেন।

বলতে গেলে টানা ১৫ বছর নখ-দন্তহীন বাঘ কিংবা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহ্নত হয়েছে দুদক। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরই বিশেষ টিম নিয়ে বেশ সক্রিয় হয়েছে দুদক। বর্তমান পরিস্থিতিতে হঠাৎ নড়েচড়ে বসেছে দুদক। অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরপরই আওয়ামী লীগ সরকারের অন্তত দুই শতাধিক মন্ত্রী-এমপি, সাবেক শীর্ষ আমলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ব্যবসায়ী ও পুলিশের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের দুর্নীতির খোঁজে জোরালো অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক। শুধু তাই নয় তাদের নামে-বেনামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করা শুরু করেছে। অনুসন্ধান কাজ আরও গতিশীল করতে অর্ধশত ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা। যদিও এরই মধ্যে অনেকে দেশত্যাগ করেছেন, কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন।

দুদক সূত্র মতে, অধিকাংশের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ গ্রহণ, ব্যাংকের ঋণ নিয়ে লুটপাট, অর্থপাচার, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, কমিশন বাণিজ্য, সরকারি ও বেসরকারি জমি-সম্পত্তি দখল, লুটপাটসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

যাদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান : 
গত দুই মাসে আওয়ামী লীগ আমলের অনেক মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। অভিযুক্ত ভিআইপিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু,  সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, কুষ্টিয়া-১ এর সাবেক এমপি সরওয়ার জাহান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, যশোর-১ এর সাবেক এমপি শেখ আফিল উদ্দীন, রাজশাহী-৪ এর সাবেক এমপি এনামুল হক, জয়পুরহাট-২  এর সাবেক এমপি আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও বাগেরহাট-১ এর সাবেক এমপি শেখ হেলাল।

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলাম,সাবেক মন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, ঢাকা-২০ এর সাবেক এমপি বেনজীর আহমেদ, যশোর-৩ এর সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, পটুয়াখালী-৪  এর সাবেক এমপি মহিববুর রহমান, নাটোর-১ এর  সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তার ছেলে শাফি মোদাচ্ছের খান, মন্ত্রীর সাবেক পিএস অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু।

দুদকের অনুসন্ধানের অভিযুক্তদের তালিকায় আরোও রয়েছে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান ও সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, সাবেক এমপি মামুনুর রশিদ কিরণ, সাবেক এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সাবেক এমপি কাজিম উদ্দিন, সাবেক এমপি নুর-ই-আলম চৌধুরী,সাবেক এমপি জিয়াউর রহমান।

সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সাবেক এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র নাথ শম্ভু, সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরী, সাবেক এমপি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক এমপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক এমপি ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, সাবেক এমপি অসীম কুমার উকিল, সাবেক এমপি অপু উকিল, সাবেক এমপি শাহে আলম তালুকদার, সাবেক এমপি ডা. মনসুর আহমেদ, সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক এমপি সোলায়মান হক জোয়াদ্দার (ছেলুন), সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, সাবেক এমপি মো. সাইফুজ্জামান শেখর, সাবেক এমপি তানভীর ইমাম, সাবেক এমপি এনামুল হক, সাবেক এমপি মো. আখতারুজ্জামান বাবু, সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুল, সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়, সাবেক এমপি মোহাম্মদ হাবিব হাসান, সাবেক এমপি মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার, সাবেক এমপি আব্দুল ওদুদ, সাবেক এমপি আয়েশা ফেরদৌস, সাবেক এমপি রনজিত কুমার রায়, সাবেক এমপি সাদেক খান, সাবেক এমপি গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, সাবেক এমপি নাছিমুল আলম চৌধুরী, সাবেক এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা, সাবেক এমপি মো. আবু জাহির, সাবেক এমপি এইচবিএম ইকবাল, সাবেক এমপি সোলায়মান জোয়ার্দার, সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদার, সাবেক এমপি এইচএম ইব্রাহিম ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তমাল মুনসুর।

অনুসন্ধানের তালিকায় রয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র ব্যারিষ্টার শেখ ফঝলে নুর তাপস, নারায়ণগঞ্জ সিটির সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র জহুরুল ইসলাম চাকলাদার। এ ছাড়া, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শাহ কামাল, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ,  ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ, সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, ডিআইজি জামিল হাসান, এনএসআইয়ের সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) টি এম জোবায়ের, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু, বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, বিসিআইসির সাবেক চেয়ারম্যান হাইয়ুল কাইয়ুম ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব আরজিনা খাতুনের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান চলছে।

সূত্র মতে,নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র জহিরুল হক রায়হান, কবিরহাটের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলি, ৩ নং ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল কন্ডাক্টর, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিন বিএসসি, নোয়াখালী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল ও ২নং সুন্দলগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন রুমি, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর, সহ-সভাপতি বৃষকেততু চাকমা, অংসিপ্রু চৌধুরী ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক রেমলিয়ানা পাংখোয়ার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।

অপরদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শিরীন আখতারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

আলোচিত বিতর্কিত তিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান চলছে। এরমধ্যে গত ১৫ আগস্ট এস আলম গ্রুপের এস আলম ও ব্যবসায়ী নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। এরপর ২২ আগস্ট সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় দুদক।  দুদকে ইতোমধ্যে এই ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আর্থিক খাত থেকে নজিরবিহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের তথ্য প্রমাণ পেয়েছে বলে জানা যায়।

এসব বিষয়ে দুদক সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক মো. ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দুদকের সাম্প্রতিক তৎপরতা দুইভাবে দেখা উচিত। একটি হচ্ছে সাবেক মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধিদের বিতর্কিত যেসব ঘটনা ছিল সরকার পতনের পর সেসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া।

 আরেকটি হচ্ছে এখন যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, তাদের বিষয়ে দীর্ঘদিন আগে থেকেই তথ্য ছিল। যা আমরা টিআইবির গবেষণায় দেখিয়েছি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা দেখিয়েছি কীভাবে জনপ্রতিনিধিদের সম্পদ অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন দুদক কিন্তু পদক্ষেপ নেয়নি। যতটুকু জানা যায় পটভূমি পরিবর্তনের পর আগের ওই তথ্যের ভিত্তিতে এখন পদক্ষেপ নিচ্ছে। বর্তমানে শতাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এর ফলাফল যাই হোক না কেন, দুদককে যে ঢেলে সাজাতে হবে এর প্রয়োজনীয়তা ভুলে যাওয়ার সুযোগ নেই।

দুদকের মুখপাত্র ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুর ইসলাম ‘আজকের দৈনিককে’ গত দুই মাসে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, সাবেক মন্ত্রী,এমপি, আমলা, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেনি ও পেশার লোকজনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার সরকারি অর্থ লুটপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য বেশ কয়টি টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্তরা যাতে বিদেমে পালাতে না পারেন, সেই জন্য দুদকের পক্ষ থেকে আদালেতে আবেদন জানালে, আদালত তাদেও বিরুদ্ধে দেশ্য ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তিনি এছাড়া আগের চলমান অনুসন্ধানের ভিত্তিতে সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ এবং সাবেক মন্ত্রী ড. শখা আলমগীরের বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করেছে। ইতোমধ্যে আলোচিত দুর্নীতিবাজ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের মধ্যে বেশ কয়জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

আ. দৈনিক / কাশেম

আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

দুদকের মামলায় বিএফআইইউয়ের সেই মাসুদ বিশ্বাস গ্রেফতার
এনসিটিবি’র সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০০ জনের নামে মামলা
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন যারা
বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক চায় ভারত: জয়সওয়াল
বাংলাদেশে নিপীড়ন বন্ধে প্রয়োজন স্থায়ী সংস্কার: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পথে
ফরিদপুরে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নেতারা গন সংযোগে ব্যস্ত
দক্ষতা ও নিষ্টার পুরস্কার, দুদকের মহাপরিচালক-পরিচালক পদে পদোন্নতি
চায়না পোশাকে সয়লাব দেশ
রাজনৈতিক ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে: সালাউদ্দিন
জাতীয়- এর আরো খবর
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মাসুদ আলম

প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : [email protected]
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝