গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনে এক হাজার ৬০০'র বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। ইতোমধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, গুম হওয়া দুই শ’র বেশি মানুষকে এখনো ট্রেস করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) সকালে কমিশনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গত ৩১ অক্টোবর গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেয়ার সময় শেষ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে এক হাজার ছয় শ’র বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। ইতোমধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে চার শ’ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আসামিদের কিভাবে অ্যারেস্ট করবে, তার ডিটেলস গাইড লাইন আছে। সেটা কিন্তু ফলো করা হয়নি। আইজিপি দেশের বাইরে আছেন, তিনি দেশে এলে কমিশনে নিয়ে আসব। একটা সার্কুলার দেয়ার জন্য বলব। তাহলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে, ভায়োলেন্স হবে না। গুমের সাথে কারা সংশ্লিষ্ট সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
গুমের সাথে বাহিনীর কতজন সদস্য সংশ্লিষ্ট- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেই সংখ্যাটা এখনো বলা যাবে না। আগামী ৭ নভেম্বর থেকে বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে। আমরা সমন ইস্যু করে দিয়েছি। প্রথম দিন সাতজনকে ডাকা হয়েছে। তারপর তিনজন, সাতজন, পাঁচজন এভাবে চলতে থাকবে। এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ডিজিএফআই’র সদস্য রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ডিজিএফআই, র্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডি, পুলিশ তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে গত ২৭ আগস্ট এই কমিশন গঠন করা হয়।
আ. দৈ. / কাশেম