বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায় কাক ডাকা ভোরে হাটতে বের হন শহরের রহমান নগরের মোস্তাফিজুর রহমান। এক ঘন্টা হাটা শেষে বাসায় ফিরতেই বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায় টাটকা কাঁচা বাজার কিনে বাসায় ফেরেন। ভোর থেকে ৮টা পর্যন্ত হঠাৎ বসা এই কাঁচা বাজারে প্রায় প্রতিদিনই টাটকা শাকসবজি নেন তিনি।
একই কথা বললেন, শহরের মালতিনগরের বাসিন্দা আতাউর রহমান। তিনিও ভোরে হাটতে বের হয়ে রাস্তার পাশে এই হঠাৎ বসা বাজারে হরেক রকম টাটকা শাকসবজি কিনে বাসায় যান। বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায় জজকোর্ট রাস্তায় প্রতিদিন ভোরে বসা এই হঠাৎ টাটকা সবজির বাজার এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শনিবার (২নভেম্বর) ভোরে সরেজমিন দেখা যায়, এ বাজারে ক্রেতার বেশ ভীর। প্রতিদিন সকালে হাটতে বের হওয়া লোকজনই এখানে বেশি কেনাকাটা করেন। দেখা গেল, ছোট এ সবজি বাজারে মহিলা ক্রেতার সংখ্যাও অনেক।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কিছুটা সহনীয় দামেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার শীতকালীন সবজি। আলু প্রতি কেজি ৫৫-৬০, কাচা মরিচ ১২০, ফুলকপি ৬০-৭০, পেয়াজ ১৪০-১৫০, পটল ৫০-৬০, করলা ৮০-১০০, বিভিন্ন প্রকার শাক ৪০, শশা ৬০-৮০, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যান্য বাজার গুলোতে প্রকার ভেদে কাচা বাজারের দাম কেজি প্রতি কিছুটা বেশি পাওয়া গেলেও এখানে কিছুটা কম নিচ্ছেন দোকানীরা।
এ বাজারে সবজি কিনতে আসা ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, সব বাজারেই ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের খরচ দিতে হয়, এখানে তেমন কোন বাড়তি খরচ না থাকায় কিছুটা কম মুল্যে সবজি পাওয়া যায়। বড় বাজারে গিয়ে ভির ঠেলে সবজি কেনার চেয়ে এখানে স্বাচ্ছন্দে বেশ সকাল সকালেই টাটকা সবজি হাতের নাগালে পাওয়া যায় বলে জানালেন, মরিয়ম বেগম নামের একজন ক্রেতা। এ বাজারে প্রতিদিন টাটকা বিষমুক্ত হরের রকম শাক পাওয়া যায়। থরে থরে বিভিন্ন ধরনের শাক সাজিয়ে রেখেছেন দোকানীরা। মাটিতে বসা প্রবীণ সবজি বিক্রেতা মুকুল মিয়া জানান, প্রতিদিন খুব ভোর থেকেই এখানে বিক্রি শুরু হয়। সকাল ৮টা বাজতেই বেচাকেনা কমে আসে। তবে অবশিষ্ট সবজি তারা ভ্যানে করে পাড়া মহল্লায় নিয়ে গিয়ে ফেরিকরে বিক্রি করেন বলেও জানালেন এ হঠাৎ বাজারের বিক্রেতারা।
আ. দৈ. / কাশেম/ মিজান