কক্সবাজার শহরে ছিনতাই ও অপহরণকারী চক্রের টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)। সেখান থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ চার দুর্বৃত্তকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে কক্সবাজার শহরের পুরাতন জাদিরাম বৌদ্ধ বিহারের পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ওই টর্চার সেলের সন্ধান পায় র্যাব।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামান।
আটককৃতরা হলেন—কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়ার বান্টু দাশের ছেলে উজ্জ্বল দাশ (২৮) এবং একই এলাকার মৃত বিমল দে’র ছেলে উৎপল দে (২৯), মৃত দুলাল ধরের ছেলে বিধান ধর (৩০) ও কাজল রুদ্রের ছেলে অন্তর রুদ্র (২২)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বলেন, কক্সবাজার শহরের পুরাতন জাদিরাম বৌদ্ধ বিহারের পাহাড়ের পরিত্যক্ত একটি ঘরকে আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে দুর্বৃত্তদের একটি দল দীর্ঘদিন ধরে পর্যটকসহ সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করার খবর পায় র্যাব।
এ তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব অপরাধী চক্রটিকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে নজরদারি শুরু করে। এক পর্যায়ে সোমবার মধ্যরাতে অপরাধী চক্রের কতিপয় সদস্য ওই আস্তানায় অবস্থান করার খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়।
র্যাব সদস্যরা সন্দেহজনক আস্তানাটি ঘিরে ফেললে ৬/৭ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যান। পরে আস্তানাটিতে তল্লাশি চালিয়ে ১টি কিরিচ দা, ৩টি ছোরা, ২টি লাঠি, একটি লম্বা রশি ও ৩টি চোরাই মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আটকরা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তারা কক্সবাজার শহরে দীর্ঘদিন ধরে পর্যটকসহ সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে মোবাইল ও নগদ টাকা লুট এবং জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করতেন অপরাধী চক্রের সদস্যরা। ক্ষেত্র বিশেষে পুরাতন জাদিরাম বৌদ্ধ বিহারের পাহাড়ের পরিত্যক্ত ওই ঘরটিকে তারা আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করতেন। সেখানে জিম্মিদের নির্যাতন চালিয়ে আদায় করতেন মুক্তিপণ।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামান আরো জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে।
আ. দৈ. /কাশেম /বিজন