বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নরিসিংদী জেলার সহকারী সেক্রেটারি ও নরসিংদী-৪ আসনের জামায়াতের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নরিসিংদী জেলার সহকারী সেক্রেটারি ও নরসিংদী-৪ আসনের জামায়াতের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, জামায়াত নেতাদেরকে আদালতে উঠানো হয়েছিল রাজাকার, আল বদর বলে। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাদেরকে আদালতে উঠানো হয়েছিল। আদালতের পাঁচজন বিচারক রায় দিয়েছেন এটিএম আজহারুল ইসলাম নির্দোষ। সুতরাং যারা আমাদেরকে রাজাকার বলে তারা নিজেদের চেহারা আয়নায় দিয়ে দেখুক।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে মনোহরদী উপজেলার সাগরদী বেলতলা মাঠে এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, একটি দল আছে তারা বলে জামায়াতকে ভোট দিলে নাকি শিরক হবে। আমি তাদেরকে বলব, আপনারা কি জানেন শিরক কত প্রকার? তারা ফতুয়া দেয়। তারা কি মুফতি? ফতুয়ার জন্য আপনারা যাবেন মুফতির কাছে। কোনো রাজনীতিবিদের কাছে না।
জামায়াতের মনোহরদী উত্তর শাখার কর্মপরিষদ সদস্য রফিকুল ইসলাম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি একেএম মনির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের বায়তুলমাল সম্পাদক আব্দুল লতিফ খান, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সাবেক সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর শৌকত আলী, মনোহরদী দক্ষিণ শাখার আমির মাওলানা মো. ছানাউল্লাহ, উত্তর শাখার আমির মাওলানা ইকবাল হোসাইন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আজকে কোনো মানুষ তাদের অধিকার পায় না। ছাত্র বলেন, শিক্ষক বলেন, ব্যবসায়ী বলেন, আলেম ওলামা বলেন। ইতোপূর্বে যারা দেশ পরিচালনা করেছেন তারা কেউ শরিয়তের আইন দিয়ে দেশ পরিচালনা করে নাই। আমরা চাচ্ছি রাষ্ট্র, সমাজ, দেশ শরিয়তের আইন দিয়ে পরিচালনা করতে।
সভায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন মনোহরদী দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারি তাজুল ইসলাম শাহীন, মনোহরদী পৌরসভার আমির আসাদুজ্জামান নূর, মনোহরদী দক্ষিণ শাখার যুব বিভাগের সেক্রেটারি সাবেক ছাত্রনেতা নূরুল আমিন ফরাজি, শুকুন্দী ইউনিয়নের আমির আল আমিন ফরাজি প্রমুখ।