সাংবাদিক নিপীড়ন বন্ধে রাষ্ট্রের মানসিকতা পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এম আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক নিবর্তনের জন্য রাষ্ট্র অনেক রকম পথ খোলা রেখেছে। যেটা বলা হয়, আকাশের যত তারা, আইনের তত ধারা। সাংবাদিকদের নিবর্তনের জন্য, নিয়ন্ত্রণের জন্য আকাশের সব রকম তারার মতো আইনের ধারা প্রয়োগ করা হয়।’
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেল সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্ট্যাডিজ (সিজেএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫’ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ: ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা’ শীর্ষক পর্বে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন।
শুধু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হবে না—উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান বলেন, এই ট্রেন্ডটাকে (সাংবাদিক নির্যাতনের ধরন) পরিবর্তন করতে হলে রাষ্ট্রের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।
এ সময় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে ঝুলে থাকা মামলাগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হবে বলে জানান তিনি। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আগামীতে যাঁরা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন তাঁদের, সাংবাদিকদের মতামত নিয়ে নাগরিক অধিকার এবং সাংবাদিকদের অধিকার সুরক্ষা করার পথ বের করতে হবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, সাংবাদিক নির্যাতন কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়। আগের মতো এখনো সাংবাদিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে সেটি হবে উদ্বেগের।
বে অব বেঙ্গল সম্মেলনের এই পর্বে ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিসের সঙ্গে যৌথভাবে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কীভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর প্রভাব ফেলেছে’ এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিজিএস। প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাসীনেরা এই আইনকে সাংবাদিকদের হয়রানি ও ভয় দেখানোর হাতিয়ারে পরিণত করেছিল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ২০২০ ও ২০২১ সালে। অনেক মামলা এখনো ঝুলছে।