বরিশালের গৌরনদীতে নির্মাণাধীন ভবনের কাজে ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর স্ত্রীসহ তিন নারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে পৌর ছাত্রদলের চার নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে পৌরসভার টরকীরচর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আজিজুল হক হাওলাদারের স্ত্রী ছালমা আক্তার বাদী হয়ে গৌরনদী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পরই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছাত্রদলের দুই নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন-পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী আকন (৩৫) এবং ছাত্রদল কর্মী শওকত হাওলাদার (৩৮)।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে-স্বামী ঢাকায় ব্যবসা করায় ছালমা আক্তার নিজেই টরকীরচর এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের কাজ তদারকি করছিলেন। গত ২১ নভেম্বর ছাত্রদলের উল্লিখিত নেতাকর্মীরা তার বাড়িতে ঢুকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এর আগে ‘মিষ্টি খাওয়ার’ কথা বলে তারা ১০ হাজার টাকা নিয়েছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ছালমা আক্তার চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। তাকে পিটিয়ে আহত করার পাশাপাশি তার ব্যবহৃত দেড় ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও পার্সে থাকা ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা বোন শাহিনা বেগম ও প্রতিবেশী ফাতেমা আক্তারকেও মারধর ও শ্লীলতাহানির শিকার হতে হয়। তাদের কাছ থেকেও আড়াই ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
এ সময় হুমকি দেওয়া হয়-দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে ভবনের নির্মাণ কাজ চালাতে দেওয়া হবে না। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১টার দিকে গৌরনদী বন্দরের বালুর মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার দুপুরে তাদের বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আদালতে নেওয়ার পথে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী আকন সাংবাদিকদের বলেন,“চাঁদাদাবির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ডেকে নিয়ে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। সেই ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।”
আ. দৈ./কাশেম