নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে আর্থিক লাভের জন্য ক্ষমতার অপব্যাবহারের মাধ্যমে জন্মনিবন্ধন সনদ জালিয়াতির দায়ে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।
আজ শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক নোয়াখালীর কোর্ট ইন্সপেক্টর মো। ইদ্রিস। এরআগে বৃহস্পতিবার বিকেলে দুদকের নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান মামলাটি রুজু করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে , গত ২০২২ সালের ১৫নভেম্বর মোছা. ছামিরা আক্তার , মোসা. রিমা আক্তার , মোছা. মাহমুদা বেগম , শ্লেপা রাণী দাস জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে ফরম জমা দেন চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদে। চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ ও তৎকালীন ইউপি সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন অসৎ উদ্দেশ্যে একে অপরের সহায়তায় অন্যায় ভাবে আর্থিক লাভের জন্য ক্ষমতার অপব্যাবহার করে ওই চারটি জন্ম নিবন্ধন সনদ করে দেন । পরদিন ১৬ নভেম্বর চারটি জন্মনিবন্ধন সনদ ব্যাবহার করে বিদেশ গমনের জন্য পাসপোর্ট তৈরির উদ্দেশ্যে কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়ন পরিষদে এনআইডি করতে গেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক সোহেল নামের একজনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় কবিরহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়। পরে দুদক তদন্ত করে ঘটনায় জড়িত থাকায় চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ সবুজ ও সাবেক ইউপি সচিব মোয়াজ্জেম হোসেনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। জন্মনিবন্ধন সনদ জালিয়াতির বিষয়ে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে একাধিক জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোয়াজ্জেম হোসেনকে হাতিয়া বদলি করা হয়েছিলো। তিনি বর্তমানে জেলার হাতিয়া উপজেলার চানন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদে সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন।
আ. দৈ. /কাশেম / সাদ্দাম