ঢাবি প্রতিনিধিঃ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে চুপ্পুকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একাউন্টের এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ওই পোস্টে লেখেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতকরণ, নতুন সংবিধান গঠন, আওয়ামী দুর্নীতিবাজ আমলাদের পরিবর্তন, হাসিনার আমলে করা সকল অবৈধ চুক্তি বাতিল এবং চুপ্পুকে অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। এর আগের দিন, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য তার নামে দুটি মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়। অতঃপর এ নির্বাচনে অন্য কোন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল না করায় ও প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাইপূর্বক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেন।
২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল বঙ্গভবনে সকাল ১১টায় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান। একইদিনে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ সংক্রান্ত সরকারী গেজেট প্রকাশিত হয়।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার আগে তরুণ বয়স থেকেই সাহাবুদ্দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সংঘটিত শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর তিনি কারাবরণ করেন।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ২২তম জাতীয় পরিষদে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে খালি থাকা প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান পদে তাকে মনোনীত করা হয়।
আ. দৈ. /কাশেম/ সাধ