শুরুর মতো পাকিস্তানের শেষটাও বাজে। শেষ ২.৩ ওভারে পাকিস্তান মাত্র ৬ রান নিতে পারে। হারায় ৩ উইকেট। তাও শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে তিন উইকেট হারায় দেশটি।
দ্বিতীয় বলে সালমান মির্জা রানআউট না হলে হ্যাটট্রিক হতে পারতো তাসকিনের। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১১০ রানে থামে সফরকারী শিবির। সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ফখর। ২২ রান করেন আব্বাস। ১৭ রান করেন খুশদিল। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাসকিন, ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজ।
প্রতিরোধের পর আউট খুশদিল ফখরের রানআউটের পর প্রতিরোধ গড়েন খুশদিল-আফ্রিদি। দুজনে ২৯ বলে ৩৩ রানের জুটিতে দলীয় স্কোর শতরান পার করেন। ১৭ রানে খুশদিলকে মোস্তাফিজ ফেরালে ভাঙে এই জুটি।
রানআউটে থামলেন ফখর প্রথম ওভারেই জীবন পাওয়া ফখর প্রথম ওভারেই জীবন পেয়েছিলেন। এরপর এক প্রান্ত আগলে রেখে এগোতে থাকেন। কিন্তু বেশি সুবিধা করতে পারেননি। ১২তম ওভারে ৪৪ রানে রানআউট ফেরেন সাজঘরে। ৬টি চার ও ১টি ছয়ের মারে এই রান করেন তিনি। ক্রিজে লড়ছেন খুশদিল-আফ্রিদি।
পঞ্চাশের আগেই নেই পাকিস্তানের ৫ উইকেট রানআউট হয়ে ফিরলেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ৫ বলে ৩ রান করেন তিনি। ৪৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে পাকিস্তান। ক্রিজে ফখরের সঙ্গী খুশদিল শাহ।
৪১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে পাকিস্তান তানজীম সাকিবকে স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন সালমান। পাকিস্তান অধিনায়ককে থামতে হয় মাত্র ৩ রানে। পঞ্চম ওভারে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর পরের ওভারে মোস্তাফিজের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন হাসান। শূন্য রান করেন তিনি। পাওয়র প্লেতে মাত্র ৪১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে পাকিস্তান। ক্রিজে ফখরের সঙ্গী নাওয়াজ।
দ্বিতীয় ওভারেই মেহেদীর আঘাত ক্যাচ মিসের কারণে প্রথম ওভারে উইকেটের দেখা পাননি। অবশেষে নিজের দ্বিতীয় ওভারে উইকেট পেলেন শেখ মেহেদী। তার স্লোয়ারে পরাস্ত হন হারিস, কাউ কর্নারে ক্যাচ তুলে দেন শামীমের হাতে। ৩ বলে ৪ রান করেন হারিস। ৩৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারালো পাকিস্তান। ক্রিজে ফখরের সঙ্গী আঘা সালমান।
ক্যাচ মিসের পরের ওভারেই তাসকিনের উইকেট শেখ মেহেদীকে দ্বিতীয় বলে চার মেরে রানের খাতা খোলেন ফখর জামান। চতুর্থ বলে সুইপ করতে গিয়ে বল তুলে দেন আকাশে। শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ ধরতে পারেননি তাসকিন। চার রানে প্রথম উইকেট ফেলার সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে অবশ্য সিয়াম আইয়ূবের উইকেট নিয়ে কিছুটা হলেও পুষিয়ে দেন তাসকিন। পঞ্চম বলে ফ্লিক করতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন মোস্তাফিজের হাতে। ৪ বলে ৬ রান করেন সিয়াম। ক্রিজে ফখরের সঙ্গী হারিস।