‘জুলাই আন্দোলন শুধু সরকার পতনের আন্দোলন ছিল না বলেছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম । তিনি বলেন, এই আন্দোলন ছিল পুরাতন সংবিধান বাতিল করে বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ আমরা শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে শুরু করলাম। সারা দেশে নতুন বন্দোবস্তের দাবি নিয়ে জনগণের কাছে আমরা যাবো। দাবি আদায় করেই আমরা ঘরে ফিরবো।
আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) বেলা ১১টায় রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ বেরোবি শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করছে না। আমরা এই দাবি বাস্তবায়নে সারা দেশের মানুষের কাছ যাবো। অনেকে ভেবেছে জুলাই আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে মানুষ ঘরে ফিরে গেছে। তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। জুলাই আন্দোলন জনগণ শুধু সরকার পরিবর্তনের জন্য করে নাই। নতুন বন্দোবস্ত, সংস্কার আর বিচার করার জন্য করেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করেই ছাড়বো।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এক বছর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম। এই আন্দোলন গণবিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। ১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনা নতুনমাত্রা যোগ করে আন্দোলনে। আবু সাঈদের বুক পেতে হাত প্রসারিত করে পুলিশের গুলির সামনে দাঁড়িয়ে মৃত্যুকে বরণ করা যুগ যুগ ধরে আন্দোলনের প্রেরণা হয়ে থাকবে। সেই আন্দোলনের ঢেউ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এতে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটে।’
এর আগে, বেলা সাড়ে ১০টায় এনসিপির নেতৃবৃন্দ শহীদ আবু সাঈদের বাসায় আসলে তার বৃদ্ধ বাবা মকবুল হোসেনসহ পরিবারের সদস্যরা তাদের স্বাগত জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ। প্রথমে তারা আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করেন। এরপর তারা আবু সাঈদের বাড়িতে যান। সেখানে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ও খোঁজখবর নেন। এরপরেই এনসিপির নেতৃবৃন্দ গাইবান্ধার উদ্দেশে রংপুর ত্যাগ করেন।
আ. দৈ./কাশেম