অপ্রত্যাশিতভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে মানি এক্সচেঞ্জ গুলোতে ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ ও বিভিন্ন রকম হয়রাণীমূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোনিয়েশন (ক্র্যাব) এ বাংলাদেশ মানি চেঞ্জার্স এসোসিয়েশন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতিমধ্যে ৬টি মানি এক্সেচেঞ্জ কার্যালয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এগুলো হলো জিসান মানি চেঞ্জার, মিরপুর-১, ঢাকা; প্রাণ মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, মিরপুর-১০, ঢাকা; মাহমুদ ফরেন এক্সচেঞ্জ সেন্টার লিমিটেড, মিরপুর-১০, ঢাকা; ডেল্টা ব্যুরো ডি চেঞ্জ লিমিটেড, ধানমণ্ডি, ঢাকা; সিটি মনিটারী এক্সচেঞ্জ (প্রাঃ) লিঃ, গুলশান-২, ঢাকা; রাতুল মানি চেঞ্জার, গুলশান-১, ঢাকা।
উল্লেখিত ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের সাথে জড়িতদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু ছিনতাই হওয়া অর্থ ফেরত পাওয়া যায়নি। যার পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি টাকা বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয় যে, ডাকাতি ও ছিনতাই হওয়া অনেক প্রতিষ্ঠানই হুমকি-ধামকিতে জীবনের নিরাপত্তার ভয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শরনাপন্ন হচ্ছেন না। বহুবিধ কারণে ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেন।
এমতাবস্থায় তারা সরকারের কাছে ব্যবসায়ীক নিরাপত্তার দাবি জানান। গুরুত্বর অভিযোগ করা হয়, সারাদেশে কিছু লোক অবৈধভাবে মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসা করে আসছে। মানি এক্সচেঞ্জ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরেও অজ্ঞাত কারণে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। নেতৃবৃন্দ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি এম এস জামান, মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার গৌতম দে, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম মাকসুদুর রহমান, শেখ আজাদ হোসেন চিশতী, ইনামুল হাসান প্রমুখ।
আ. দৈ./কাশেম