রাজধানীসহ সারাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বেলজিয়ামে পালিয়ে থাকা সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (২৩ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুটি পৃথক আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক আল আমিন আবেদন দুটি উপস্থাপন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-৭ আসনের সাবেক এমপি হাছান মাহমুদ বন, পরিবেশ, তথ্য এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ১১ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জন এবং ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকার সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
এই লেনদেনের মাধ্যমে তিনি অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানিলন্ডারিং করেছেন বলে দুদক জানিয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করেছেন।
অপরদিকে, তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি, তার নিজ, যৌথ এবং প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ৫৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৬৮৩ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন পাওয়া গেছে। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দুদকের ভাষ্য অনুযায়ী, হাছান মাহমুদ তার সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন। এসব লেনদেন ‘ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থের উৎস গোপন করে তা রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং’-এর পর্যায়ে পড়ে।
দুদক মনে করে, মামলার তদন্তাধীন অবস্থায় আসামিরা বিদেশে চলে গেলে তদন্ত প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এজন্য তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আ. দৈ./কাশেম