বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরবর্তী সময় থেকে শুরু করে আগস্টের টানা বন্যা পরিস্থিতিতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের মানুষের বিশ্বাস ও ভরসার মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান খান।
চলতি বছরের আগস্টে স্মরণকলের ভয়াবহ বন্যায় লক্ষ্মীপুরের পাঁচ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন ইমরান উঠেছে এমন দাবি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রায়পুরের সকল দলমত ও শ্রেণি পেশার মানুষ লিখছেন তার ইতিবাচক কর্মকাণ্ড নিয়ে। অফলাইনেও চলছে আলোচনা।
তার কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে উপজেলার ছাত্র প্রতিনিধি জুবায়ের আল ইয়াসিন তার ফেসবুকে ওয়ালের একটি পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন, ইমরান খান স্যারের মতো এমন জনবান্ধব ইউএনও রায়পুরে কখনো এসেছিলো বলে মনে হয় না। আমাদের সৌভাগ্য এমন একজন কর্মকর্তাকে আমরা পেয়েছি যিনি দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে রায়পুরবাসীর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
ইউএনও ইমরান খানের প্রশংসা করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবদুল কাদির জীবন বলেন, বন্যা পরিস্থিতিতে ইমরান খান নিজের সেরাটা দিয়ে কাজ করেছেন। এক্ষেত্রে আমরা তাকে ফ্লাড হিরো বা বন্যাকালীন নায়ক বলতেই পারি।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সরকারি, বেসরকারি সকল ত্রাণ, উপহার ও নগদ অর্থের সুষম বণ্টন করেছে নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান। রেডক্রিসেন্ট, স্কাউটস, ফায়ার ডিফেন্স, আনসার, পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করেছেন তিনি।
জানতে চাইলে ইমরান খান বলেন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতি দেখে ব্যবস্থা নেয়া আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ আমাকে যে নির্দেশনা দিয়েছেন আমি তা পালন করার চেষ্টা করেছি। বন্যা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এই দূর্যোগে রায়পুরের মানুষ আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। আমি রায়পুরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ।
আ. দৈ. /কাশেম/ জিহাদ