জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের মুক্তির প্রতিবাদ ও রাজশাহীতে ছাত্র জোটের ওপর হামলার প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট চট্টগ্রামে মানববন্ধন করেছে। এ সময় সেখানে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট ও শাহবাগ বিরোধী মঞ্চের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) বিকেল ৪টার দিকে এ সংর্ঘষ হয়। সংর্ঘষে জোটের পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।আহতদের মধ্যে শ্রীকান্ত বিশ্বাস, রিপা মজুমদার, ধ্রুব বড়ুয়া ও নর্ণেন নাম জানা গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে অন্যদের নাম জানা যায়নি।
জানা গেছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিকেল চারটায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভের আয়োজন করে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট। একই সময়ে সেখানে শাহবাগ বিরোধী মঞ্চের কর্মীরা জমায়েত হন। এর একটু পরেই দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা চলে প্রায় আধা ঘণ্টা।
সংঘর্ষে আহত হয় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। ঘটনাস্থলে পুলিশ দুই পক্ষকে নিভৃত করার চেষ্টা করলেও বেশকিছুক্ষণ চলে উত্তেজনা।
শাহবাগবিরোধী মঞ্চের ব্যানারে আসা কর্মীদের দাবি, এসব বামপন্থী সংগঠনগুলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর। তারা জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের ন্যায় বিচার পাওয়া মেনে নিতে পারছে না।
অন্যদিকে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতাদের দাবি, তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁদের ওপর অর্তকিত হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট আর মানববন্ধন করতে পারেনি। প্রেসক্লাব থেকে চলে যাওয়ার পর তাদের ব্যানার পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে বামদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে শাহবাগ বিরোধী মঞ্চ।
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান বলেন, ‘জামায়াত নেতা এটিএম আজহার চিহ্নিত রাজাকার। তিনি পাকিস্তানিদের সঙ্গে মিলে গণহত্যায় অংশ নিয়েছিল। তাকে বেকসুর খালাস দেওয়ার রায় প্রহসনের রায়। এর প্রতিবাদ জানাতে সারা দেশে কর্মসূচি পালন হচ্ছে। চট্টগ্রামেও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে শিবিরের নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা করেছে। আমাদের ১৫-১৮ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে নিয়ে আমি হাসপাতালে আছি।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উপস্থিত পুলিশ উভয় গ্রুপকে সংঘর্ষ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছে। যেকোনো ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তবে কোনো পক্ষের অভিযোগ না পাওয়ায় এখনো পর্যন্ত ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।