মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে আদালতের রায়ে মুক্তির প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে ঢাবির মধুর ক্যানটিন থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক, শাহবাগ মোড় ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনসমূহ (গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট) এর আয়োজন করে।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আজ সকালে খালাস দেয় আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে এ রায় দেন। সেই সঙ্গে অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাঁকে অবিলম্বে মুক্তিরও নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
খালাসের রায়ের ঘোষণার পরপরই ফেসবুকে পোস্ট করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল আহ্বান করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার। পরবর্তীতে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনসমূহ (গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট) বিকেল ৪ টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ঘোষণা করে।
মিছিলটি মধুর ক্যানটিন থেকে শুরু হয়ে কলাভবন হয়ে শাহবাগ ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে এসে সমবেত হয় রাজুতে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘একাত্তরের বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই, চব্বিশের বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই, ৭১ হারেনি হেরে গেছে হাসিনা, ২৪ হারবে না হেরে যাবে আলবদর, আমার মাটি আমার মা আলবদরের হবে না’ এই সব স্লোগান দিতে থাকেন।
মিছিল শেষে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে সমবেত প্রতিবাদ সমাবেশের সঞ্চালক শিমুল কুম্ভকার (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) বলেন, ‘ইন্টেরিম সরকারের ১০ মাসের মাথায় আমরা দেখলাম ৭১’এর মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দিল। মুক্তিযুদ্ধে আল বদর বাহিনীর কমান্ডার থেকে আজহার নাকি বাংলাদেশে পক্ষে কাজ করেছে! ৫৪ বছর পরে এসে এই গল্প শুনানোর জন্য ইন্টেরিম সরকারকে আমরা ধিক্কার জানাই।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল। উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি সাঈদুল হক নিশান।