ঢাকা উত্তর সিটির (ডিএনসিসি) বর্তমান প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নিজেদের অদক্ষতা, চরম ব্যর্থতা, নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও লোপাটের অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একের পর এক নানা ফন্দি ফিকির শুরু করেছেন। বর্তমানে ডিএনসিসিতে প্রশাসক এজাজ সিন্ডিকেটের উৎপাতে অতিষ্ঠি অধিকাংশ কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
এরই মধ্যে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সত্তায় জনপ্রিয়তা অর্জনের হীন উদ্দেশ্যে সম্প্রতি ঘোষাণা দিয়েছেন আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং ডেঙ্গু রোগের জীবানুবাহি এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হবে। তার এই মিথ্যা ঘোষণা অবশ্যই ফৌজদারি অপরাধের শামিল। কারণ দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীকে তিনি নগরীতে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ এবং মশা মারা কাজে নিয়োগের ঘোষণা দেবার সাহস কিভাবে পেলেন। ফলে এই বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ:
এদিকে আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী নিয়োগে ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসকের বক্তব্য প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে সেনাবাহিনী। আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ধরনের কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার পরিকল্পনা নেই তাদের।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের এক বক্তব্যে বলা হয়, আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ডেঙ্গু (এডিস) মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হবে। সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের কোনো কার্যক্রমের বিষয়ে অবগত নয় এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার পরিকল্পনা নেই।
সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। সেনাবাহিনী মনে করে, কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মতো দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ও উপযুক্ত সংস্থাগুলোকে দেওয়াই যৌক্তিক হবে।
আ. দৈ./কাশেম