গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী গাজীপুরা এলাকায় পোশাক কারখানার উচ্ছিষ্ট কাপড়ের অংশ ‘ঝুট’ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি এবং স্বেচ্ছা সেবক দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘষের্ অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে সাংবাদিক ও পথচারী রয়েছেন। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় শুক্রবার দিবাগত রাতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে স্থানীয় বিএনপি দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ গণমাধ্যমকে জানায়, গত শুক্রবার (২৩ মে) ওই দুই গ্রুপের সংঘর্ষকালে বেশকয়টি ককটেল বিস্ফোরণ,বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় কাজী হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে একটি দায়ের করা হয়। যার নম্বর মামলা নম্বর: ২৫/২০২৫)।
পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার কাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকার দিপু সরকার (৩৪) ও পূর্বকোনাপাড়া এলাকার জসিম উদ্দিন (৩৮)কে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা টঙ্গী পশ্চিম থানায় দায়ের হওয়া মামলার যথাক্রমে ২ ও ৯ নম্বর আসামি এবং স্থানীয় বিএনপির নেতৃস্থানীয় কর্মী হিসেবে পরিচিত।
পুলিশ জানায়, গত ২৩ মে (শুক্রবার) সকালে টঙ্গীর স্যাটার্ন টেক্সটাইলের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লার অনুসারী এবং বিএনপির ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুন কবিরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ, ধারালো অস্ত্র ব্যবহার এবং অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে, যাদের মধ্যে সাংবাদিক ও পথচারীরা রয়েছেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, “এটি পূর্বপরিকল্পিত সহিংসতা ছিল। অভিযানে আমরা দুই গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এলাকা এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অন্য অভিযুক্তদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী এই সংঘর্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।
আ. দৈ./ কাশেম