দেশের শীর্ষ মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় নিয়মিত প্রথমস্থান অর্জনকারী তা'মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা টঙ্গী শাখায় বিগত সাত বছর ধরে প্রশাসনিক কার্যক্রম চলেছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। পরে ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বরে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে স্থায়ী অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান ড. হিফজুর রহমান।
কিন্তু নিয়োগের পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো মাদ্রাসার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তার কোনো তথ্য যোগ করা হয়নি। ওয়েবসাইট মোতাবেক এখনো উপাধ্যক্ষ মাওলানা মিজানুর রহমানের নাম ও ছবি ‘ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ’ হিসেবে প্রদর্শিত হচ্ছে। আর ড. হিফজুর রহমান কোনো অধ্যক্ষ নন। অথচ ১২ হাজার শিক্ষার্থীর এ প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও তথ্য হালনাগাদ রাখার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যপ্রযুক্তির যুগে দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে এ ধরনের গাফিলতি নিয়ে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ ও হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি নজরে আসলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে অধ্যক্ষের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল ব্যক্তির তথ্য অনুপস্থিত থাকাটা দুঃখজনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়।
নাম অপ্রকাশ রাখার শর্তে মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ‘ওয়েবসাইটে অধ্যক্ষের তথ্য না থাকা নিছক অবহেলা নয়, এটি প্রশাসনিক উদাসীনতার প্রতিফলন।’ এ বিষয়ে মুঠোফোনে ড. হিফজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বার বার নির্দেশ দেয়ার পরও এখনো ওয়েবসাইটে তথ্য দেয়া হয়নি। অতিদ্রুত তথ্য পরিবর্তন করা হবে।
উপাধ্যক্ষ মাওলানা মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান বিষয়টা আমাদেরকে ইতি পূর্বে কেউ বলেনি। অধ্যক্ষর সাথে যোগাযোগ করে পরিবর্তন করা হবে।
আ. দৈ./কাশেম