স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ কর্পোরেট ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকদের জন্য সফলভাবে ১০০টি বেশি হোস্ট-টু-হোস্ট (এইচটুএইচ) ও এপিআই সংযোগ সম্পন্ন করেছে। এই অর্জন দেশের ডিজিটাল ব্যাংকিং খাতে নতুন একটি মানদণ্ড তৈরি করেছে।
ব্যাংকটি এই সেবার মাধ্যমে ট্রেজারি ও বাণিজ্য কার্যক্রমকে আরও সহজ, দ্রুত এবং উদ্ভাবনী করতে বড় ভূমিকা রাখছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর হোস্ট-টু-হোস্ট এবং এপিআই সমাধানগুলো ব্যবসাগুলোকে তাদের এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং (ইপিআর) সিস্টেম সরাসরি ব্যাংকের সাথে সংযোগ করার সুবিধা দেয়। এর ফলে নিশ্চিন্তে পেমেন্ট, কালেকশন, ডকুমেন্টারি ক্রেডিট এবং অ্যাকাউন্ট আপডেটগুলো সম্পন্ন হয় সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবং রিয়েল-টাইমে। এতে সময় বেঁচে যায় পাশাপাশি ভুলের সম্ভাবনা কমে এবং নিরাপত্তা বাড়ে। ব্যাংকের নিজস্বভাবে তৈরি ইন্টিগ্রেশন ফ্রেমওয়ার্কগুলো জটিল চাহিদা মেটাতে এবং নগদবিহীন, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার দিকে দ্রুত পরিবর্তনকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।
এই অর্জনের মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড তার নেতৃত্বকে কর্পোরেট ব্যাংকিংয়ের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ায় আরও শক্তিশালী করেছে, । এফএমজিসি, উৎপাদন, টেলিকম, স্বাস্থ্যসেবা, বিমান চলাচল, আর্থিক সেবা এবং উন্নয়ন খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাংকটি উদ্ভাবনী সমাধান দিয়ে ব্যবসাগুলোর আর্থিক চাহিদা পূরণ করছে। ব্যাংকটির কাস্টমাইজড ইন্টিগ্রেশন ফ্রেমওয়ার্কগুলো ক্যাশলেস এবং স্বয়ংক্রিয় কার্যক্রমে দ্রুত অগ্রসর হতে সহায়তা করছে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “হোস্ট-টু-হোস্ট ইন্টিগ্রেশনের শততম সফলতা আমাদের গ্রাহককেন্দ্রিক কৌশলের বড় প্রমাণ। এটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এ বছরই আমরা বাংলাদেশে আমাদের ১২০ বছরের যাত্রা উদযাপন করছি। এই দুটি অর্জন বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে এক নতুন মাইলফলক তৈরি করেছে। ডিজিটাল ট্রেজারিতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করে, আমরা ব্যবসাগুলোকে আরও সংযুক্ত একটি বিশ্বে দ্রুত, নিরাপদ ও আত্মবিশ্বাসের সাথে পরিচালিত হতে সহায়তা করছি। উদ্ভাবন, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের পথে আমরা আমাদের গ্রাহকদের পাশে থাকতে পেরে গর্বিত।”
বাংলাদেশে প্রথম আন্তর্জাতিক ব্যাংক হিসেবে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ১২০ বছরের ঐতিহ্যে ধারাবাহিকভাবে রূপান্তরমূলক উদ্ভাবন চালিয়ে গেছে। দেশের প্রথম এলসি ইস্যু করা থেকে শুরু করে, দেশের প্রথম ডিজিটাল ট্রেড প্ল্যাটফর্ম চালু করা এবং হোস্ট-টু-হোস্ট (এইচটুএইচ) ও এপিআই সমাধানের মাধ্যমে ট্রেজারি সংযোগে নেতৃত্ব দেওয়া, ব্যাংকটি বাংলাদেশে ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যত গড়তে অব্যাহত রয়েছে।
এই নতুন মাইলফলক তার ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী করে, একটি বিশ্বস্ত পার্টনার এবং ডিজিটাল অগ্রগতির গতিশীল উৎস হিসেবে—যা ক্লায়েন্টদের একটি ক্রমবর্ধমান সংযুক্ত পৃথিবীতে সফল হতে সহায়তা করে।
র/আ