আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মাগুরায় বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ইউসুফ নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীর মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় এবং তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের মূল ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রবিবার মাগুরা জেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে’ গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এই বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন সময়ে ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও জনতা তাদের একজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মো. হুসাইন বলেন, ‘আজকের ঘটনায় প্রমাণ করে যে তারা প্রকাশ্যে রাজপথে উঠে আসার সাহস দেখাচ্ছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকি তাহলে আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে এবং দেশকে আবার ধ্বংসের রাজনীতিতে লিপ্ত করবে। আমরা চাই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে।’
মুখ্য সংগঠক রাকিবুল ইসলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘জুলাই আগস্টে নির্বিচারে গণহত্যা চালানো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশের জনগণ আবারও রাজপথে নেমে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে। আওয়ামী লীগকে যারা পুনর্বাসন করতে চায় তাদের বিচারও এই বাংলার মাটিতে জনগণই করবে।’ এছাড়াও বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী জানান, দুপুরে মাগুরা সরকারি কলেজের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা তাদের এক কর্মীর মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং তাকে ধরে সদর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আ.দৈ/আরএস