প্রকাশ্যে দিবালোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম (এফএইচ) হলে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ঝড়িত থাকার অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক দুই শিক্ষার্থী হলেন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র জালাল মিয়া এবং মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ সুমন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তাঁদের দুজনকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। আটক জালাল হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ সম্পাদক। কোটা সংস্কার আন্দোলনের চলাকালে তিনি ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগে করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিগুলোতে সক্রিয় ছিলেন। আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে অন্য শিক্ষার্থীরা এলেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি। মোহাম্মদ সুমনের রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে এফএইচ হল থেকে ওই দুই শিক্ষার্থীকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তাঁরা এখন শাহবাগ থানায় আছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম সাহাবুদ্দিন শাহীন সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
তোফাজ্জল নামের ওই যুবক গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে বঙ্গবাজার এলাকার পার্শ্ববর্তী এফএইচ হলের ফটক দিয়ে মাঠের ভেতরে যান। তখন কয়েকজন শিক্ষার্থী চোর সন্দেহে তাঁকে আটক করে হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাঁকে মারধর করা হয়। পরে তাঁকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে রাতের খাবার খাওয়ানো হয়। এরপর আবার তাঁকে হলের অতিথি কক্ষে এনে ব্যাপকভাবে মারধর করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, এ সময় ওই যুবককে স্ট্যাম্প দিয়ে মারধর করা হয়েছিল। তাঁরা জানান, গতকাল দুপুরে হল থেকে কয়েকজন ছাত্রের মোবাইল ও মানি ব্যাগ চুরি হয়েছিল। সেই ঘটনায় তোফাজ্জলকে সন্দেহ করে এভাবে মারধর করা হয়। পরে গভীর রাত ১২টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী তোফাজ্জলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আ. দৈ. /কাশেম