কুমিল্লার দেবিদ্বারে গত বছরের ৫ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ বিএনপি নেতা আব্দুস সামাদের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
তার জানাজায় অংশ নেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এ সময় তিনি সামাদের মরদেহ কাঁধে করে কবর পর্যন্ত নিয়ে যান।
বুধবার (৫ মার্চ) সকালে দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী হাবিবুর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য গুলির সামনে তারা বুক পেতে দিয়েছিলেন, তাদের সন্তানের একটা ভালো ভবিষ্যতের জন্য। এটাকে গড়ার দায়িত্ব আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে নিতে হবে। এটা একজন দুইজনের কাজ নয়। যে যেই ব্যানারেরই হোক না কেন, যে মতাদর্শের লোকই হোক না কেন, দিনশেষে আমরা সবাই দেশকে ভালোবাসি। এই যে সামাদ ভাই দেবিদ্বারকে ধারণ করে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামাদ ভাইদের স্বপ্ন, একটা ফ্যাসিবাদমুক্ত একটা সুন্দর দেবিদ্বার গড়তে হবে।
তিনি বলেন, নিহত সামাদ ভাইয়ের পরিবারের আমরা দায়িত্ব নিচ্ছি। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তার পরিবারের যেসব সুযোগ-সুবিধা দরকার তা নিশ্চিত করবো। শহীদ পরিবারের জন্য যে ফান্ড গঠন করা হয়েছে জুলাই ফাউন্ডেশন। সেটি থেকে তাদের যে প্রাপ্য রয়েছে সেগুলো নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব করা হবে।
এ সময় কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ এফ এম তারেক মুন্সী, উত্তর জেলা জামায়েত ইসলামীর সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হাসনাত খান, ওসি শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘ সাত মাস মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যান বিএনপি নেতা আব্দুস সামাদ। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন থানা ঘেরাওকালে দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সামাদ। এ সময় তিনি মারাত্মক আহত হয়েছিলেন। গত ৪ মার্চ বিকেলে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে মারা যান তিনি। নিহত সামাদ কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের ধামতী উত্তরপাড়া গ্রামের আছমত আলীর ছেলে। তিনি ধামতী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য।
আ.দৈ/আরএস