রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫,
১ আষাঢ় ১৪৩২
ই-পেপার

রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
জাতীয়
আন্দোলনে ‘ধর্ষণের শিকার’ দাবি করা মাহির অডিও ফাঁস
নিজস্ব প্রতিবেদক
Publish: Thursday, 27 February, 2025, 8:44 PM  (ভিজিট : 108)

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগ নেতাদের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন দাবি করা আদ্রিনা মাহি ইস্যুতে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীদের সম্মুখ ভূমিকা নিয়ে ছবি ও তথ্যচিত্রের আর্কাইভ প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি ওই দাবি করেন।

তবে একই দিন (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ১২ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সায়মা মাসুদ মোমো ফেসবুকে নিজের আইডিতে ওই শিক্ষার্থী সম্পর্কে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যেখানে সায়মা লেখেন, ‘আদ্রিনা মাহিকে ধর্ষণ এবং পরবর্তীতে তাকে সমন্বয়কদের সাহায্য না করা প্রসঙ্গ’—

‘প্রথমেই বলছি, সত্য-মিথ্যার বিচার আমি করব না, আমি শুধু পুরো ঘটনার বিস্তারিত বলব। অনেক লম্বা কাহিনি, পুরোটা পড়ার অনুরোধ রইল, বিচারের দায়িত্ব আপনাদের হাতে।’

‘ঘটনার শুরু : আদ্রিনা মাহির সাথে আমার পরিচয় হয় আগস্টের পরে, নারায়ণগঞ্জে যাবার পর। আমার সঙ্গে তার খুবই ভালো সম্পর্ক। আমি সিনিয়র হওয়া সত্ত্বেও আমার কাছে তার এমন একটা কম্ফোর্ট জোন আছে যে সে আমাকে ‘আপু’ না ডেকে তুমি করেই বলে।

তারিখটা ঠিক মনে নেই, একদিন হঠাৎ সে এসে বলতেসে, ‘মম, আমার সাথে তো আন্দোলনের সময় খারাপ কাহিনি ঘটেছে। আমি তো আন্দোলনের সময় রেইপড হয়েছিলাম, এ জন্য আমাকে এখন আমার বাসা (নারায়ণগঞ্জ) থেকে বের করে দিয়েছে।’ তারপর আমি তার কাছ থেকে এ ঘটনা শুনে তাকে পরামর্শ দিলাম, সান্ত্বনা দিলাম, স্টেপ নিতে চাইলাম কিন্তু সে ওই ব্যাপারে আগালো না তেমন একটা।

একদিন হঠাৎ মাহি আমার কাছে এসে বলে ঢাবিতে অনেক আসন ফাঁকা আছে, তার জন্য যেন একটা সিটের ব্যবস্থা করে দিই। আমি তখন ওকে বোঝাই যে এটা পুরোপুরিভাবে অবৈধ এবং এটা করাও সম্ভব না।
যাহোক, এর অনেক দিন পর ১৩ নভেম্বর, ২০২৪ সকাল সাড়ে ৫টা-৬টার মধ্যে সে আমাকে কল দেয়। কল দিয়ে বলে, ‘আমি তো প্রেগন্যান্ট হয়ে গিয়েছি, এখন বুঝতে পারতেসি না কী করব, আমি তো সুইসাইডাল হয়ে যাচ্ছি।’

সেই সাথে তখন মাহি আমাকে মেসেঞ্জারে একটা প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের ছবি দেয়। আমি তখন খুবই কন্সার্ন্ড হয়ে পড়ি এটা নিয়ে এবং তাকে আমার হলের সামনে আসতে বলি। সে আমার হলের সামনে এলে আমরা ১৩ নভেম্বর সকাল ৮টার দিকে ধানমন্ডি লেকের উদ্দেশে রওনা দিই, সেখানে রেস্টুরেন্টে বসে তার সাথে আমার প্রায় ২ ঘণ্টার মতো কথাবার্তা হয়, সেগুলো নিচে উপস্থাপন করছি—

আদ্রিনা মাহিকে আমি প্রথমেই সান্ত্বনা দিই এবং ভেঙে পড়তে না করি। তারপর তাকে জিজ্ঞেস করি যে কী কী হয়েছিল ডিটেইলসে বলতে, যাতে তাকে যথাযথ সহায়তা করতে পারি। মাহি আমাকে বলে যে ৪ আগস্ট সে সকাল ৯টার দিকে আন্দোলন করার জন্য নারায়ণগঞ্জের একটি স্থানে (চাষাড়া বা গোল চত্বর, স্থানের নামটা আমার এক্সাক্টলি মনে নেই) অটো থেকে নামে। অটো থেকে নামার পর নাকি তাকে ৪-৫ জন আওয়ামী লীগের কর্মী ঘিরে ধরে এবং তাকে টেনেহিঁচড়ে রিকশায় তুলে নিয়ে যায়। মাহি আমাকে জানায়, সে আন্দোলন করার জন্য মাইক নিয়ে আসছিল এবং সেটা সে অটোওয়ালার কাছে লুকিয়ে রাখে, অটোওয়ালা প্রকাশ্যে তার কাছে মাইক হ্যান্ডওভার করার কারণে আওয়ামী লীগের কর্মীরা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। ৩ আগস্ট মাহিকে নাকি আন্দোলন শেষে বিকালে বাসায় যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের নেতারা থ্রেট দিয়েছিল রেইপ করার।

তখন স্বাভাবিকভাবে আমি তাকে জিজ্ঞেস করি, তোমাকে থ্রেট দেয়ার ঘটনা আর কেউ কি জানত বা কাউকে বলেছিলে? মাহি বলে যে, মাহি আন্দোলন শেষে ৩-৪ জন ফ্রেন্ডের সাথে মিলে বাসায় ফিরত (নাসিমা, রাতুল, সাইফুল, সাফা, নিরব)। কিন্তু কেউই এই হুমকি সম্পর্কে জানত না, সে জানায় নাই।

এরপর মাহি জানায়, তাকে আওয়ামী লীগের কর্মীরা শামীম ওসমানের ভাইয়ের বাসায় নিয়ে যায় এবং সেখানে ধর্ষণ করে। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করি যে ধর্ষণকারী কারোর নাম সে জানে কি না বা এখন দেখলে চিনতে পারবে কি না? মাহি বলে যে তার কারও চেহারাই মনে নেই, সে কাউকে চিনতে পারবে না। তবে একজনের বয়স ৩০-এর মতো ছিল বাকিরা ইয়াং ছিল। তারপর একপর্যায়ে সে নাকি তাদের আওয়ামী লীগের এক নেতার নাম বলে যে মাহির পরিচিত, সেই আওয়ামী লীগ নেতার নাম শোনার পর তাকে দুপুর ১২.৩০-এ ধর্ষকরা ছেড়ে দেয়। এরপর সে রিকশা নিয়ে বাসায় চলে আসে। এই ঘটনা সে বাসায় কাউকে জানায় না। এমনকি নাসিমাসহ তার আন্দোলনে থাকা কোনো সহযোদ্ধাকেও জানায় না।’

‘ঘটনার দ্বিতীয় অংশ : মাহি আমাকে জানায় ৪ আগস্ট আন্দোলনে ধর্ষণ হবার পর দ্বিতীয়বার সে আবার ধর্ষিত হয় ১০ আগস্ট। মাহির ভাষ্যমতে, সেদিন মাহি ঢাকার বাইরে এক আত্মীয়ের বিয়ে খেতে গিয়েছিল একা একা। ফিরতে ফিরতে রাত ১০টা বেজে যায়। তখন সে উবারে বাইক কল করে এবং বাইক দিয়ে ফেরার পথে বাইক ড্রাইভার তাকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, যাত্রাবাড়ীর আশপাশে একটা এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে। তখন আমি মাহির কাছে ওর কল লিস্ট ঘেঁটে বাইক ড্রাইভারের নম্বরটা দিতে বলি, যেহেতু তার ভাষ্যমতে সে উবারে বাইক কল করেছে, সো, রাইডারের নম্বর বা ট্র‍্যাকিং হিস্ট্রি থাকার কথা। তৎক্ষণাৎ মাহি আমাকে জানায় সে ভুল বলেছে, উবারে বাইক কল করেনি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এক বাইকারের বাইকে উঠেছে।

তারপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করি সে বাইকারকে চিনতে পারবে কি না। সে বলল চিনতে পারবে না, কারণ ধর্ষণ করার সময় বাইকারের মাথায় হেলমেট পরা ছিল। তাই মাহি বাইকারের চেহারা দেখতে পায়নি। পরবর্তীতে সে বাসায় চলে আসে এবং এই ঘটনাও সে কাউকে জানায় না। ১০ তারিখ রাতে নাকি তার মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছিল তখন সে বাইকারের ফোন থেকে তার আম্মুকে কল দেয়। আমি তখন মাহিকে বলি, ওর আম্মুর ফোন থেকে বাইকারের নম্বর নিয়ে দিতে। মাহি জানায়, তার বাসার সাথে এখন তার কোনোই যোগাযোগ নেই, তাই সে নম্বর বের করতে পারবে না।

১৩ নভেম্বরের ঘটনায় আবার ফেরত আসি, এসব কিছু মাহির কাছ থেকে জানার পর আমি মাহিকে জিজ্ঞেস করি সে এই ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের কোনো সমন্বয়ক বা পুলিশের কাউকে জানিয়েছে কি না? মাহি জানায়, মাহি পুলিশের কাছে গিয়েছিল কিন্তু কোনো প্রমাণ না থাকায় পুলিশ মামলা নেয় নি। আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম, জিডিও করেনি? সে বললো না। তখন আমি মাহিকে পরামর্শ দিলাম নারায়ণগঞ্জ থানায় গিয়ে অজ্ঞাত নামা মামলা করতে, অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য তাকে সাহায্য করতে চেয়েছি আমি। এমনকি নারায়ণগঞ্জের এসপির কাছেও ব্যাপারটা জানাতে চেয়েছি। মাহি সেটাও তখন করতে চায়নি, মানে ও তখন অজ্ঞাতনামা মামলাও করতে চায়নি।

এরপর মাহি আরও অনেককেই এই ঘটনা সম্পর্কে জানায়। তাকে আমি হাসপাতালে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সে আমার সাথে হাসপাতালে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। সারজিস ভাই মাহির সাথে সরাসরি এ ব্যাপারে কথা বলে এবং তাকে হেল্প করতে চায়, কিন্তু মাহি তখনো গড়িমসি করে। সারজিস ভাইকে আমি আবারও মাহির ব্যাপারটা নিয়ে জানাই, তখন উনি আমাকে পপুলার হাসপাতালের একজন ডাক্তারের সাথে মাহির শারীরিক অবস্থা নিয়ে পরামর্শ করার জন্য জানান।

তখন মাহিকে পপুলার হাসপাতালের একজন ডাক্তারের অ্যাড্রেস দিয়ে বলি ওই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে। কারণ, মাহির দেওয়া তথ্যমতে তখন ৩ মাস ওভার হয়ে গেছে, এই মুহূর্তে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো স্টেপ নেওয়া উচিত না। উল্লেখ্য, মাহি সুইসাইডাল হয়ে এবোরশনের স্টেপ নিতে চাচ্ছিল বারবার। সেদিন আমি তাকে অনেক সাপোর্ট ও সান্ত্বনা দিয়ে এবোরশন ছাড়া অন্য বিভিন্ন অল্টারনেটিভ উপায়ের কথা বলি, যাতে সে সুইসাইডাল হওয়া থেকে বিরত থাকে। তারপর আমি তাকে রিকশায় করে ঢাকায় যেই মেসে সে থাকে, সেই মেসের সামনে দিয়ে আসি।

মাহির ভাষ্যমতে, তার পরিবার তাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে, তার থাকার জায়গা নেই। সেই মুহূর্তে বৈষম্যবিরোধীরই একজন সিনিয়র আপু তাকে আশ্রয় দেয় তার অসহায়ত্বের কথা শুনে। আমি মাহিকে বলি সে যেন বাসায় যোগাযোগ করে এবং তার বাসার নম্বরটা আমাকে দেয়, আমি ওর বাসায় কথা বলে সব বুঝিয়ে বলতে চাই কারণ ঢাকা শহরে একটা মেয়ের এই অবস্থায় একা থাকা সমীচীন না। মাহি তখন তার পরিবারের নম্বর দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

যাহোক, পরবর্তীতে সে বৈষম্যবিরোধীর আরও ককয়েকজনের কাছে এই ব্যাপারে জানায়। নুসরাত তাবাসসুম আপুর সাথে মাহির কথা হলে, মাহি নুসরাত আপুকে জানায় যে সে এবোরশন করাতে চায়। কিন্তু নুসরাত আপু মাহিকে জানায়, যেহেতু তিন মাস পেরিয়ে চার মাস প্রায় হয়ে যাচ্ছে, তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এ ব্যাপারে আগানো এখন মাহির শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।

নুসরাত আপু তাকে ভালো হাসপাতালে নিয়ে যেতে চায় এবং ব্লাড টেস্ট-সহ আনুষঙ্গিক চিকিৎসা এগিয়ে নিতে বলে। একই সাথে মাহি নিজে মামলা করতে না চাইলে বৈষম্যবিরোধীর পক্ষ থেকে কিংবা অন্য কারো মাধ্যমে যদি মাহি কম্ফোর্টেবল তাহলেও যেন বাদি হয়ে মামলা করায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চায়।

হান্নান মাসঊদ ভাইকেও মাহি এ ব্যাপারে জানায় এবং সাথে এটাও জানায় যে, আমার সাথে তার (মাহির) আগে কথা হয়েছে এ ব্যাপারে এবং আমি তাকে সাহায্য করছি। তখন হান্নান মাসঊদ ভাই সাথে সাথেই আমাকে কল দেয় এবং মাহিকে যেন সর্বোচ্চ ও দ্রুত হেল্প করার জন্য পদক্ষেপ নিই, সে জন্য তাগাদা দেয়।

উমামা ফাতেমা আপুর সাথে মাহির এ ব্যাপারে কথা হয় এবং উমামা আপুও তাকে মামলার ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য তৎপর হয়।

প্রত্যেকে তাকে আইনি পদক্ষেপসহ মেডিক্যাল রিলেটেড ব্যাপারেও হেল্প করতে চায় কিন্তু সে বিভিন্নভাবে ইনিয়ে-বিনিয়ে গড়িমসি করতে থাকে, কোনো ডাক্তারের কাছে যায় না, কোনো প্রেসক্রিপশনও দেখাতে পারে না, মামলা করার জন্য স্টেপ নিলেও সে আগাতে চায় না, গড়িমসি করে।

এরপর একদিন হঠাৎ আমি তার ফেসবুক স্টোরি / নোট দেখি। সেখানে লেখা ছিল, ‘আল্লাহ তুমি যা ছিনিয়ে নাও তা কেন দাও?’

এই নোট দেখে আমার মনে হলো মাহির হয়তো মিসক্যারেজ হয়েছে, তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম। মাহি আমাকে জানায়, ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধীর প্রোগ্রামে গিয়ে গাড়ি থেকে নামার সময় হঠাৎ করেই তার ব্লিডিং শুরু হয়, তারপর সে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসে এবং বাসার ওয়াশরুমের কমোডে এক বাচ্চা পড়ে যায়, আরেক বাচ্চা ওয়াশরুমের ফ্লোরে পড়ে যায়। তাকে আমি বারবার জিজ্ঞেস করি, কোনো আঘাত লেগেছিল কি না, অথবা স্লিপ কেটেছিল কি না? সে আমাকে জানায় কোনো আঘাত ছাড়াই নাকি তার মিসক্যারেজ হয়েছে।

আমি সত্য-মিথ্যা বা কোনো কনক্লুশন দেব না। পুরো পোস্টটা যারা পড়েছেন, তাদের অনেক জায়গায়ই কনফিউশন থাকতে পারে, আমারও ছিল। কিন্তু মাহির সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল বিধায় তার ইমেজের কথা চিন্তা করে আমি এর ডিপ ডাউন এনালাইসিস এ যাইনি এত দিন। কিন্তু আজকে সে শিল্পকলা একাডেমিতে যেই বক্তব্য দিয়েছে, সেটা স্পষ্টতই মিথ্যাচার। সমন্বয়কদের অনেকেই ওকে অনেকবার সহায়তার কথা বলেছে কিন্তু সে বিভিন্নভাবে গড়িমসি করে সহায়তার দিকে আগায়নি।

স্ট্যাটাসে কিছু ছবি ও ভিডিওর লিংক দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মোমো বলেন, ‘মাহির সাথে আমার ১৩ নভেম্বর কথা হবার দিন আমি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো নোট করেছিলাম আমার নোটখাতায়, সেগুলোর ছবি দিচ্ছি। একটা ড্রাইভ লিংক শেয়ার করছি, যেখানে মাহির সাথে আমার ৪২ মিনিটের কথোপকথন আছে। আমার সাথে ওর সরাসরি ২ ঘণ্টা কথা হয়েছে, কিন্তু ওর কথা শোনার অর্ধেক সময় পর হঠাৎ কেমন জানি সব অগোছালো লাগতে শুরু করল। তখন আমি মোবাইলের রেকর্ডার অন করি। সেই সাথে আমার সাথে মাহির চ্যাটিংয়ের কিছু স্ক্রিনশটও দিচ্ছি।’

মাহির উদ্দেশে মোমো লেখেন, ‘মাহি তুমি আমাকেসহ অনেককেই বলেছ যে আমি তোমাকে পুরোটা সময় বোনের মতো সাপোর্ট দিয়েছি। তোমাকে আমি আহ্বান করছি, সামনে আসো, মুখোমুখি হও এবং বিনা কারণে মিথ্যাচার না করে সত্যটা সামনাসামনি পরিষ্কার করো সৎসাহস থাকলে।’

মাহিকে এই পোস্টের কথা প্রমাণের তাগাদা দিয়ে তিনি বলেন, ‘যেভাবে আজ ওপেনলি একপাক্ষিক বক্তব্য দিয়ে সবার সামনে মিথ্যাচার করেছ, সেভাবে সামনাসামনি হয়ে বলো যে তোমাকে বৈষম্যবিরোধীর সকলে সাপোর্ট দিতে চেয়েছে কি না? তুমি গড়িমসি করেছ কি না? আমি চাই এবার সকল রহস্যের জট খুলুক। মাহিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনানো হলে থলের বেড়ালও বের হয়ে আসবে। সাহস এবং প্রমাণ থাকলে, এসে বলো যে আমার পোস্টে বলা কথাগুলো মিথ্যা।’

আ.দৈ/আরএস
   বিষয়:  আন্দোলন   ‘ধর্ষণ   শিকার   দাবি   মাহির   অডিও   ফাঁস  
আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

২৪০০ আসনের বিপরীতে আবেদন ৬০ হাজারেরও বেশি
ঢাকা উত্তরের কৃষকদল নেতা রাফেলসহ কয়েকজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৬৯ জন হাসপাতালে
বিশ্বব্যাংকের ২৫০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা অনুমোদন
সোমবার থেকে টানা ৩ দিন অতি ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

আগতাড়াইল মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উপহার সামগ্রী বিতরণ
ঢাকা উত্তরের কৃষকদল নেতা রাফেলসহ কয়েকজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
‘আমার বুড়ো বাপকেও তুই ছাড়িসনি’ বলে আওয়ামী লীগ নেতাকে গণধোলাই
ডিএনসিসির উত্তরায় দিয়াবাড়ি কোরবানির পশুর হাটের বর্জ্য এখনো পড়ে রয়েছে
বিমান বিধ্বস্তে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন এক যুবক
জাতীয়- এর আরো খবর
close
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মাসুদ আলম

প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : ajkerdainik$gmail.com
About Us    Advertisement    Terms & Conditions    Privacy Policy    Copyright Policy    Circulation    Contact Us   
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝