ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আরপিওতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং একক প্রার্থী থাকলে সে আসনে ‘না ভোট’সহ একগুচ্ছ সংশোধন এনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) অধ্যাদেশ ২০২৫ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (১১ আগস্ট) নবম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভা শুরু হয়। চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দিনভর আলোচনা চলে। সেদিন কয়েকটি বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হলেও আরপিও নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি ইসি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, আরপিওতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইভিএমসংক্রান্ত যাবতীয় বিধি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ‘না ভোটের’ বিধান করা হয়েছে। কোনো আসনে একজন প্রার্থী থাকলে শুধু সেখানে ‘না ভোট’ থাকবে। ইসি অবস্থা বুঝে নির্বাচনে ফলাফল স্থগিত করতে পারবে, যা আগে ছিল না। এছাড়া সমভোট হলে লটারি প্রথা বিলোপ করে পুনঃভোট হবে।