মানিকগঞ্জের সিংগাইরে জনৈক দশম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে সালমান তারিক নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে ।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার(২০ ফেব্রুয়ারি) ভিকটিম বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় ধর্ষণকারি সালমান তারিকসহ তার মা ও ভগ্নিপতিকে আসামী করে মামলা দায়েন করেন। মামলার আসামীরা হলেন,উপজেলার সিংগাইর সদর ইউনিয়নের গোবিন্ধল গ্রামের প্রবাসী আলী আকবরের ছেলে সালমান তারিক(২২),আকবর আলীর স্ত্রী জুলেখা বেগম(৪৭) ও ভগ্নিপতি ঢাকা জেলার ধামরাই থানার শিয়ালকোল গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম(৪২)
এজাহার সূত্রে জানাযায়,গত বছরে ১৪ এপ্রিল ভিকটিমের সাথে সালমান তারিকের পরিচয় হয়। কথাবার্তা চলতে থাকে। এক পর্যায় প্রেম ভালোবাসার সম্পূর্ক গড়ে ওঠে। প্রেম ভালোবাসার সম্পূর্কের জের ধরে পাশ্ববর্তী সাভারস্থ বনপুকুর এলাকাসহ বিভিন্নস্থানে ঘুরতে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ফুসলিয়ে ও ভুল বুঝিয়ে ধর্ষণ করে। এর মধ্যে বিয়ের দাবি করলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ১১ আগস্ট উপজেলার জার্মিত্তা ইউনিয়নের শায়ন রিসোর্টের একটি কক্ষে নিয়ে যায়।
সেখানে ভিকটিম বিয়ের দাবি করলে রাত ১১ টায় পুনরায় মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পূর্ক লিপ্ত হতে চাইলে রাজি না হওয়া স্বত্ত্বে জোড় পূর্বক সালমান তারিক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। উক্ত ঘটনার পর ভিকটিম সালমান তারিককে বিয়ের জোড় তাগিদ দিলে নানা ধরনের তালবাহানা কালক্ষেপন করতে থাকে। উপায়ন্ত না পেয়ে ভিকটিম, অভিযুক্ত সালমানের বাড়ি গিয়ে তার মা,ভগ্নিপতিকে বিষয়টি জানিয়ে বিয়ের দাবি করলে তার ওপর আক্রমন করে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে চিকিৎসা শেষে থানা গিয়ে মামলা করেন তিনি।
ভিকটিমের সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে,ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, সালমান আমার ইজ্জত নস্ট করেছে। আমাকে ওর বিয়ে করতে হবে। অভিযুক্ত সালমান তারিকের মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো.জাহিদুল ইসলামের বক্তব্যের জন্য সরকারি মোবাইলে ফোন দিলে রিসিপ করেননি।
আ. দৈ./ কাশেম/ রিপন