রাজধানীর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর রোডের ৬৩ নম্বর বাসা। এই বাসা থেকেই উদ্ধার করা হয় ৩৭ বছর বয়সী চীনা নাগরিক ওয়াং বু-এর রক্তাক্ত মরদেহ। পুলিশের ধারণা, হত্যার পর বিদেশে পালিয়ে গেছে তার সহকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি শুক্রবার সকালে নিশ্চিত করেন উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান।
সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট জানায়, নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিশেষ করে গলায়, বাম কাঁধে, ডান হাতে, বাম বুকে ও বাহুতে মোট ১১টি আঘাত। পরবর্তীতে সকল আলামত সংগ্রহ করা হয় এবং তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হেফাজতে নেওয়া হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। তবে হত্যার পেছনে আসল কারণ ও কারা জড়িত, তা জানতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। তারা বলছে, দোষীদের শনাক্ত করতে সব ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
আলামত সংগ্রহের পর সিআইডির ক্রাইন সিন ইউনিটের পরিদর্শক শেখ রাসেল কবীর বলেন, 'নিহতের গলায়, বাম কাধে, ডান হাতে, বাম সিনা ও বাহুতে মোট ১১টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ঘাড়ের মধ্যেই সব থেকে বেশি গুরুতর আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ছুরি মেরে তাকে ১৪/১৫ ঘন্টা আগে হত্যা করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'আমরা নিহতের দুটি রক্তমাখা মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। সেই সাথে তার কিছু রক্তমাখা কাপড়চোপড়, শরীরের বিভিন্ন জায়গার আলামত ডিএনএ পরিক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
এমআই