সারাদেশে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। দিনটিকে কেন্দ্র করে মসজিদে মসজিদে চলছে নামাজের প্রস্তুতি।
আজ শুক্রবার জুম্মাবার হওয়ায় দিনটির মাহত্য অনেকগুন বেড়েছে বলে মনে করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। তাই জুম্মার নামাজের খুতবাতেও ছিলো দিনটির মাহত্মের বর্ণনা।
তবে দিনটিকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের বাজারে উর্ধ্বগতি দেখা গেছে। বিশেষ করে চাহিদা বেশি থাকার সুযোগে বেড়েছে, গরু, মুরগি ও খাসি মাংসের দাম।
খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। শবে বরাতের দিন ৭৮০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা পর্যন্ত কেজি প্রতি গরুর মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে। এক্ষেত্রে এক সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংসে দাম বেড়েছে সর্বনিম্ন ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত।
অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম গত তিনদিন আগেও ছিল প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। এখন এক লাফে হয়েছে ২১০ টাকা। এক্ষেত্রে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা করে। এছাড়া প্রায় গত ছয় মাস ধরে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খাসির মাংস কেজি প্রতি বিক্রি হতো ১১০০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু আজ হঠাৎ করে ব্যবসায়ীরা খাসির মাংসের কেজি প্রতি দাম হাঁকাচ্ছেন ১১৫০ টাকা।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুর কাঁচাবাজার, পল্লবী মুসলিম বাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজারগুলোতে সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিটি মাংসের দোকানে ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি। হঠাৎ দাম বাড়ায় ক্রেতা-বিক্রেতার দরদামের দৃশ্য চোখে পরে প্রতিটি মাংসের দোকানেই। ক্রেতাদের প্রশ্নের উত্তরে ব্যবসায়ীরা বলছেন, শবে বরাতের বাজারে দাম একটু বেশি থাকে।
৭৫০ টাকার মাংস হঠাৎ করে ৮০০ টাকা দাম চাওয়ার সদুত্চ্ছেতর দিতে পারেনি বেশিরভাগ বিক্রেতাই।
একই ভাবে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে খাসির মাংসের দাম ছিল ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
ব্রয়লার মুরগি কিনতে গিয়ে বাড়তি দাম দিতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। ১৯০ টাকা কেজি মুরগির দাম বেড়ে আজ বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা। বিক্রেতারা হঠাৎ সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি টমেটো ৩০ টাকা করে, আলু ২৫ টাকা, বেগুন আকার অনুযায়ী ৫০ থেকে ৭০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা, দেশী শসা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুল ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫, লাউয়ের পিস ৪০ থেকে ৬০, টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি, শসা ৫০ থেকে ৬০ ও কাঁচা মরিচের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্বস্তিতে রয়েছে পেঁয়াজের বাজার দামও। তবে দাম বাড়তি রয়েছে রসুনের। খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, দেশি নতুন রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ এবং আমদানি করা রসুনের কেজি ২৫০ থেকে ২৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে আদারও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দর বেড়ে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।