টানা ১৬ বছর রাজধানীসহ সারাদেশে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে বিএনপি এবং জাময়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হাজার হাজার নেতা কর্মীদের ওপর জুলুম,হত্যা,গুম,আয়নাঘরে আটকে রেখে নির্যাতন, শত শত মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে বছরের পর বছর কারাগারে আটকে রাখার করুন দৃশ্য ভোলার মতো নয়।
অবশেষে গত বছর ছাত্র জনতার অসহযোগ আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতের দিল্লীতে পালিয়ে যায় এবং আওয়ামী সরকারের পতন হয়।ওইসময় ছাত্র জনতার আন্দোলনকে দমন করতে প্রায় ১৫০০ লোককে হত্যা করা হয় এবং আরো প্রায় ৩০ হাজার লোককে আহত করা হয়।
এদিকে বর্তমানে ড.মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে।এছাড়াও মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তার সহযোগি,সন্ত্রাসী এবং অপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুানালে। এই বিচারিক আদালতের কার্যক্রমকে বাধাগস্ত করার পাশাপাশি, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামার ঘোষনা দিয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী। বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা।
এদিকে তাদের অনলাইনে ঘোষণা করা লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় মাঠে ছিল বিএনপি,জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৭ টা থেকে বেলা সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা কর্মীরা রাস্তায় অবস্থান করেন।
এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বুলেট, সহসভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন, সহসভাপতি মো. জাকির হোসেনসহ নেতা কর্মীরা।
আ. দৈ./কাশেম