কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের লেখক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় বিদায়ী লেখকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনটির সভাপতি খায়রুজ্জামান খান সানির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান ও টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করীম।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয়, সাধারণ-সম্পাদক আশিকুর রহমানসহ সংগঠনির অন্যান্য সদস্য ও শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রমুখ।
এসময় অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করীম বলেন, তরুণরা সার্থক, ভাষা আন্দোলনে তরুণরাই রক্ত দিয়েছে, চব্বিশের আন্দোলনেও তরুণরাই নেতৃত্ব দিয়েছে। কোন বাণী তরুণদের সাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে তা তোমাদের জানতে হবে। তোমাদের কোরআনকে ধারণ করতে হবে, কারণ পবিত্র কোরআনেই মানবজাতির সকল সমস্যার সমাধান দেওয়া হয়েছে। কুরআন মানুষের জন্য কোনো সম্প্রদায়ের না। এটি সমগ্র মানবজাতির জন্য।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, পাঠকের মৃত্যু ঘটে কিন্তু লেখকের মৃত্যু ঘটে না। কারণ লেখার মৃত্যু ঘটে না। লেখনীর মাধ্যমে জ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়েছে পৃথিবীতে এবং অব্যাহত আছে, অনন্তকালের দিকে অগ্রসর হচ্ছে লেখনীর মাধ্যমে। লেখা সমাজ দর্শনকে তুলে ধরে।লেখার মাধ্যমে সমাজকে চেনা যায়। যারা রেঁনেসা ঘটিয়েছে পূর্ব যুগে এবং আধুনিক যুগে প্রত্যেকেই লেখক। লেখক হয় চিন্তাশীল, লেখক হয় শান্তি প্রিয়। তাই, তুমি তোমাকে তৈরি করো লেখক। লিখতে হলে পড়তে হবে। বেশি বেশি পড়বে। তোমরা কল্যাণমূলক লেখা লিখবে। তোমরা এমন কোনো লেখা লিখবে না যা সমাজের অকল্যাণ করে।
আ. দৈ. /কাশেম/ সাকিব