সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী ও চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ মোট ছয়জনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার (২ জানুয়ারি) ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক ছয়টি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ আদালতে সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরীর বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়—
তিনি ৫৭ কোটি ১৩ লাখ ৭ হাজার ২২৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
৩৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২০০২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা এবং ১৩ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলারের সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, ঘুস ও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
তিনি বগুড়ার একজন আয়করদাতা, তাই তার আয়কর রেকর্ডপত্র আদালতের অনুমতি নিয়ে জব্দ করা প্রয়োজন।
দুদকের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন।
তিনি এমপি থাকাকালীন ১৮ কোটি ৭৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮০ টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেন। ২১টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন সম্পন্ন করেন।
৯৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯৯২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়েছে।
অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা।
আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আরও চারজনের বিরুদ্ধে:
মেসার্স এমএ ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিউলি আক্তার মুন্নি ও তার স্বামী আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী। অবসরপ্রাপ্ত সাব রেজিস্ট্রার মোছা. রেহানা বেগম ও তার স্বামী শরিয়তপুর সদরের সাব রেজিস্ট্রার একেএম ফয়েজ উল্লাহ।
দুদক জানিয়েছে, এই ছয়জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে এবং তাদের আয়কর রেকর্ড জব্দ করে বিশ্লেষণ করা জরুরি।
আ. দৈ./ সাধ