লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধভাবে চলছে সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) বিক্রির রমরমা ব্যবসা। বেশ কয়েকবার শাস্তির আওতায় এসেও দেদারসে উপজেলার চরপাতা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় চলছে অবৈধ ও উচ্চ প্রাণ ঝুঁকির এ কারবার।
জানা যায়, এটির নেপথ্যে কাজ করছেন নিজেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের শীর্ষ নেতা পরিচয় দেয়া বিল্লাল কবিরাজ। বিগত সরকারের আমলেও নানান দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অবৈধ গ্যাসের কারবার পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে করছেন থোড়াই কেয়ার। নাকের ডগায় বসে ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্যবসা কার্যক্রম চালালেও তাকে টুঁ শব্দও বলার সাহস দেখান না সংশ্লিষ্টরা। আইনের তোয়াক্কা তিনি না করলেও বাংলাদেশ গ্যাস আইন ২০১০-এর ১৩ (ক)/১৯ ধারা বলছে, পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে ভ্রাম্যমাণ রিফুয়েলিং স্টেশন এবং যানবাহন সিএনজিতে রূপান্তর কারখানা স্থাপন অপরাধ।
বিল্লাল অবৈধ গ্যাস ব্যবসার সাথে রয়েছেন প্রায় ছয় বছর যাবত। বিগত সময়ে তাকে কিছুটা দমানো গেলেও হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি যেন রীতিমতো হয়ে উঠেছেন- স্থানীয় গ্যাস মাফিয়া। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দেখা যায়, বছর বারো বয়সী এক ছেলেকে দিয়ে গ্যাস বিক্রির কাজ করাচ্ছেন বিল্লাল। দেশে বিদ্যমান শিশু শ্রম আইনও অমান্য করছেন তিনি।
মাইন উদ্দিন, আনোয়ার হোসেনসহ বেশ কয়েকজন সিএনজি চালিত অটোরিকশাচালক জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুমোদিত গ্যাস স্টেশন রয়েছে। তবে এখানে যাত্রাপথে গ্যাস নিতে সুবিধা হয়। তাই তারা নিচ্ছেন। ঝুঁকির ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না।
কাভার্ড ভ্যানকে গ্যাস চেম্বারে পরিণত করে বিল্লাল ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা পরিচালনা করছেন কিনা এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, "আপনি কার কথায় ছবি তুলে নিয়েছেন। আমার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন? আপনি কে, আপনি কোন সংস্থার।" এরপর উর্ধতন কয়েকজন ব্যাক্তির নাম উচ্চারণ করে ফোন রাখেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান খান বলেন, আইন অনুযায়ী এটি দন্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি ইতোমধ্যেই প্রশাসনের নজরে এসেছে। ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আ. দৈ. /কাশেম/ জিহাদ