বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অপরাধ দমন ও শান্তি রক্ষায় ওপারের শক্তি যেই থাকুক, তাদের সঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, "সীমান্তে ওপারে বর্তমানে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, আমাদের কাজ করতে হবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে যেতে হবে।"
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস (সিপিজে) আয়োজিত ‘ক্রাইম এগেইনস্ট হিউম্যানিটি ইন মিয়ানমার: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড ফর আইআইএমএম’ শীর্ষক লেকচারে তিনি এসব কথা বলেন।
সীমান্ত রক্ষায় বাংলাদেশের অবস্থান
ড. খলিলুর রহমান জানান, সীমান্তে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের দায়িত্ব। রাখাইনে চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সীমান্তে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। তিনি বলেন, "মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত ২৭১ কিলোমিটার। এই সীমান্ত দিয়ে মাদক, অস্ত্র ও মানুষ পাচারের ঘটনা ঘটে। ওপারের সহযোগিতা ছাড়া সীমান্ত সুরক্ষা কঠিন।"
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত মিশনের (আইআইএমএম) প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান লেকচারে জানান, রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত অপরাধের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, "আমরা নিশ্চিত করছি, এই তথ্য-প্রমাণ ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ও আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) ব্যবহৃত হবে।"
অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডেভিড ডৌল্যান্ড সভাপতিত্ব করেন এবং সিপিজের নির্বাহী পরিচালক মনজুর হাসান সমাপনী বক্তব্য দেন।