ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে ক্যাম্পাসে তীব্র আলোচনা চলছে। ছাত্র সংগঠনগুলো সংস্কারের প্রস্তাবনায় একমত হলেও, নির্বাচনের সময় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
দ্রুত নির্বাচনের দাবি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শিবির এবং বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী দ্রুত, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে। তারা মনে করে, নির্বাচনের রোডম্যাপের মধ্যেই গঠনতন্ত্র সংশোধন এবং সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের অপসারণ সম্ভব।
ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, “সংস্কারগুলো দ্রুত সময়ে করা সম্ভব। এজন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন নেই। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা ডাকসু নির্বাচন চাই।”
সংস্কারের পর নির্বাচনের দাবি
অন্যদিকে, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্টসহ চারটি ছাত্র সংগঠন মনে করে, সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থিদের সরিয়ে এবং গঠনতন্ত্র সংশোধনের পর নির্বাচন হওয়া উচিত।
ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, “আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। ডাকসু নির্বাচন প্রয়োজন। তবে বর্তমান গঠনতন্ত্র ছাত্রলীগকে সুবিধা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি সংশোধন করতে হবে।”
সুষ্ঠু পরিবেশে গুরুত্ব
সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সোহাইল আহমেদ শুভ বলেন, “নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। হলগুলোতে প্রচার-প্রচারণার পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি।”
প্রশাসনের ভূমিকা
বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি নাজিয়া হাসান রাশা বলেন, “ডাকসু নির্বাচন দ্রুত আয়োজন করতে হবে। তবে গঠনতন্ত্রের ফ্যাসিবাদী ও অগণতান্ত্রিক বিষয়গুলো পরিবর্তন করতে হবে। প্রশাসনকে হলগুলোর সুষ্ঠু পরিবেশের দায়িত্ব নিতে হবে।”
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র অধিকার পরিষদও দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে। তারা মনে করে, ঘোষণাপত্রে সংস্কারের বিষয়গুলো উল্লেখ থাকলে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে মতবিরোধ দূর হবে।
আ.দৈ./সাধ