শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫,
৫ মাঘ ১৪৩১
ই-পেপার

শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
জাতীয়
জনপ্রশাসনের ৮২ ব্যাচ
বিদ্যুৎ খাতে শুধুই আমলা, নাকি কর্তৃত্ববাদী মতাদর্শের আমলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
Publish: Saturday, 28 December, 2024, 1:14 PM  (ভিজিট : 38)
দেশের বিদ্যুৎ খাতের বর্তমান অব্যবস্থাপনা ও আর্থিক চাপ তৈরির জন্য অনেকাংশেই দায়ী করা হয় সাবেক বিদ্যুৎ সচিব আবুল কালাম আজাদকে। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী

দেশের বিদ্যুৎ খাতের বর্তমান অব্যবস্থাপনা ও আর্থিক চাপ তৈরির জন্য অনেকাংশেই দায়ী করা হয় সাবেক বিদ্যুৎ সচিব আবুল কালাম আজাদকে। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী

দেশের বিদ্যুৎ খাতের বর্তমান অব্যবস্থাপনা ও আর্থিক চাপ তৈরির জন্য অনেকাংশেই দায়ী করা হয় সাবেক বিদ্যুৎ সচিব আবুল কালাম আজাদকে। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী আমলাদের অন্যতম ছিলেন তিনি। 

২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হিসেবে কাজ করেন তিনি। পরে ইআরডি সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও এসডিজি-বিষয়ক সমন্বয়কের হিসাবেও নিয়োজিত ছিলেন তিনি। দেশের বিদ্যুৎ খাত বেসরকারি উদ্যোক্তানির্ভর (আইপিপি) হয়ে উঠেছিল তার হাত ধরেই। শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি হয়েছিলেন তিনি। প্রবল প্রতাপশালী এ সাবেক আমলা সরকারের জনপ্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হয়েছিলেন এ ৮২ ব্যাচেরই আরেক আমলা মোহাম্মদ সাদিক। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক এ চেয়ারম্যান গত নির্বাচনে এমপি হন সুনামগঞ্জ-৪ আসন থেকে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিও করা হয় তাকে। প্রশাসনে থাকাকালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। 

২০১৬ সালের মে মাসে তিনি পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। এর আগে ২০১৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চাকরি শেষে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৮২ ব্যাচের আরেক কর্মকর্তা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর। এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ছিলেন। আগে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি বাস্তবায়নের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে সবচেয়ে প্রভাবশালী আমলাদের অন্যতম ধরা হতো তাকেও।

প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশে সামরিক শাসন জারি করেন ১৯৮২ সালে। সে বছরেই প্রশাসনে ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। সামরিক শাসনের অধীনেই চাকরিজীবনের শুরুর বছরগুলো পার করেছেন তারা। জনপ্রশাসনে কর্মকর্তা হিসেবে তাদের ভিত্তিও তৈরি হয়েছিল সে সময়। পরে তাদের অনেকের মধ্যে কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা তৈরি হওয়ার পেছনে স্বৈরতান্ত্রিক সে কাঠামোকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টদের অনেকেই।

এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৮২ ব্যাচের এ অ্যাডমিন ক্যাডাররা বিএনপি, তত্ত্বাবধায়ক ও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় নিয়োজিত আছেন তাদের কেউ কেউ।

বিসিএসে ১৯৮২ ব্যাচের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়েছিল ওই বছরেই। আর ব্যাচটি চাকরিতে প্রবেশ করে ১৯৮৪ সালের শেষ দিকে। এ ব্যাচে মোট কর্মকর্তা ছিলেন ১৯১ জন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এরশাদের পতনের পর ৮২ নিয়মিত ব্যাচের কর্মকর্তারা বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই মেয়াদে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত ছিলেন। তাদের অনেকেই বিএনপির ২০০১ সালে শুরু হওয়া মেয়াদে ডিসি হিসেবে নিয়োগ পান। পরে তারা পদোন্নতি পান অতিরিক্ত সচিব হিসেবে। এ ব্যাচের কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদায়ন হয় ২০০৬ সালের দিকে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এ ব্যাচের কর্মকর্তারা যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ফিরে আসার পর তাদের ব্যাচ থেকে সচিব হতে শুরু করে।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিসিএস ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের সুবিধাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অনেকেরই তৎকালীন সরকারের শীর্ষপর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়তে থাকে। দিনে দিনে দেশের আমলাতন্ত্রে তাদের প্রভাব বাড়তে থাকে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোয় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখতেন তারা।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ১৯৮২ সালের নিয়মিত ব্যাচের এমনই এক সদস্য মোহাম্মদ শফিউল আলম। ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন। দেশের ২১তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব তিনি। পরে তিনি বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। চাকরি শেষে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি সেখানে অবস্থান করে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তবে আওয়ামী লীগ থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।

এ ব্যাচের আরেক কর্মকর্তা হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ছিলেন। ২০১৪ সালের জুলাইয়ে হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। এর আগে তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন।

সুরাইয়া বেগম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সচিব হিসেবে নিয়োগ পান আওয়ামী লীগ আমলে ২০১৫ সালে। পরে তিনি সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি পান। চাকরি থেকে অবসরের পর ২০১৮ সালে সুরাইয়া বেগমকে তথ্য কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। এর আগে তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিসংখ্যান ও তথ্যব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন আইএমইডির সচিব, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বও পালন করেছেন।

আওয়ামী লীগ শাসনামালে ৮২ ব্যাচের যেসব কর্মকর্তা বঞ্চিত ছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের অনেকেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। বর্তমানে তারাই প্রশাসনের নেতৃত্বে রয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শেখ হাসিনার পতনের পর প্রশাসনে ৮২ ব্যাচের কর্মকর্তাদের প্রভাব কমে যায়। এ ব্যাচের কর্মকর্তাদের অনেকেই আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ গা-ঢাকা দেন। চলতি ১২ আগস্ট আলী ইমাম মজুমদার বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর দায়িত্ব পান। পরে ১৬ আগস্ট তিনি ব্যক্তিগত সহকারীর পরিবর্তে উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের জনপ্রশাসন ঢেলে সাজানোর কাজে প্রধান উপদেষ্টাকে সহযোগিতা করছেন তিনি। আর এজন্য তিনি কাজে লাগাচ্ছেন তার একজন সাবেক ব্যক্তিগত সহকারীকে। আর ৮২ ব্যাচের ব্যাচের পুনরুত্থান ঘটেছে এর পর থেকেই।

এ ব্যাচের কর্মকর্তা ড. শেখ আব্দুর রশীদ মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পান গত ১৬ অক্টোবর। তিনি সরকারের ২৫তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব। মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এ কর্মকর্তা বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ইউএনও, ফেনী জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং টাঙ্গাইল জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা বিভাগের উপসচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান আমদানি ও রফতানি নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি একজন হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েট। চাকরিজীবনে তিনি মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব এবং সরকারি কর্ম কমিশনের সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়া তিনি ইতালিতে অবস্থিত আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের ভাইস চেয়ার হিসেবে কাজ করেছেন। ইউরোপীয় কমিশনে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিও ১৯৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। কর্মজীবনে ড. নাসিমুল গনি জামালপুরের জেলা প্রশাসক এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ইরাক ও জর্ডানে বিদেশী মিশনে কাজ করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন ও নিপোর্টের মহাপরিচালক, জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার মো. জমিরউদ্দিন সরকারের একান্ত সচিব, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং রাষ্ট্রপতির একান্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ড. নাসিমুল গনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালে অতিরিক্ত সচিব থাকা অবস্থায় তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। এর চার বছর পর ২০১৩ সালে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় আওয়ামী লীগ সরকার।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক ১৯৮৩ সালের নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর সহকারী কমিশনার, উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, থানা নির্বাহী অফিসার, সিনিয়র সহকারী সচিব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের পর বিএনপির শাসনামলে তিনি জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব, ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১/১১-এর সময়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিগত বিএনপি আমলে ৮২ ব্যাচের যারা প্রভাবশালী ছিলেন, তারা আওয়ামী লীগ আমলে বঞ্চিত হয়েছেন। আবার এ ব্যাচের অনেকেই আওয়ামী লীগ আমলের শেষদিকে অনেক প্রভাবশালী ছিলেন। আবার যারা আওয়ামী লীগের সময়ে বঞ্চিত হয়েছিলেন, তারা এখন প্রভাবশালী হয়েছেন। অবসরের পরও তারা সিনিয়র সচিব, সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘‌আমরা ৮১ ব্যাচের কর্মকর্তা। আমাদের ব্যাচ পর্যন্ত আমলাদের মধ্যে দলীয় আনুগত্য ছিল না বললেই চলে। থাকলেও তেমন কর্মকর্তার সংখ্যা খুবই কম ছিল। সে সময় পর্যন্ত যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা দিয়ে পদোন্নতি হয়েছে। তার পর থেকেই মূলত দলীয়করণের শুরু। তবে কোনো আমলেই পুরো আমলাতন্ত্র প্রো-আওয়ামী লীগ বা প্রো-বিএনপি ছিল না। কিছু কর্মকর্তা দলীয় আনুগত্যের সুযোগ নিয়েছেন মাত্র।


আ. দৈ/ আফরোজা 



আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

দুদকের মামলায় বিএফআইইউয়ের সেই মাসুদ বিশ্বাস গ্রেফতার
এনসিটিবি’র সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০০ জনের নামে মামলা
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন যারা
বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক চায় ভারত: জয়সওয়াল
বাংলাদেশে নিপীড়ন বন্ধে প্রয়োজন স্থায়ী সংস্কার: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পথে
ফরিদপুরে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নেতারা গন সংযোগে ব্যস্ত
দক্ষতা ও নিষ্টার পুরস্কার, দুদকের মহাপরিচালক-পরিচালক পদে পদোন্নতি
চায়না পোশাকে সয়লাব দেশ
রাজনৈতিক ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে: সালাউদ্দিন
জাতীয়- এর আরো খবর
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মাসুদ আলম

প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : [email protected]
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝