ফরিদপুরে চলমান ৩ দিনব্যাপী বিজয় মেলার শেষ দিন আজ। মেলায় কারু-চারু পণ্য, লোকজ, পিঠাপুলিসহ বিভিন্ন সামগ্রীর পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। প্রথমদিন থেকেই মেলায় ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। শেষ দিনেও যা ছিল চোখে পড়ার মতো।
মেলার শেষ দিনে শহরের অম্বিকা ময়দানে আজ বুধবার দুপুর থেকে নানা বয়সী দর্শনার্থীদের দেখা যায়। কেউ কিনেছেন পণ্য, আবার কেউ ঘুরেছেন, কেউ তুলেছেন সেলফি, কেউ খেয়েছেন পিঠাপুলি কিংবা ফুচকা। আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছে শিশুরাও। বিকাল থেকে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল অম্বিকা ময়দান।
এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর বিকালে বেলুন উড়িয়ে বিজয় মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা। পরে মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন জেলা প্রশাসকসহ অতিথিরা।
উদ্বোধনের দিন থেকে মেলায় বিভিন্ন পসরা নিয়ে বসেছেন নারী উদ্যোক্তারা। কেউ বিক্রি করছেন শাড়ি ও কামিজ আবার কেউ হাতে তৈরি কলাগাছের পণ্য, কেউবা পিঠাপুলিসহ নানা ধরনের হাতে তৈরি পণ্য নিয়ে বসেছেন। প্রথমদিনেই ক্রেতার উপস্থিতি ভালো এবং বেচাকেনা বেশি হয়েছে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
নারী উদ্যোক্তা সোনিয়া সুলতানা জানান, নারী কর্মীদের হাতে তৈরি বিভিন্ন পোশাক বিক্রি করছি। এখানে শাড়ি, কাপড়, কামিজসহ বিভিন্ন পোশাকে হাতের কাজ শেষে বিক্রি করা হয়। এক হাজার ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকা দামের শাড়ি রয়েছে। এ সময় ক্রেতাদের ভালো সাড়া পেয়েছেন বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।’
উদ্যোক্তা আসমা জাহান জানান, আমি পিঠাপুলি নিয়ে বসেছি। ভালোই বিক্রি হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের পিঠা রয়েছে। এছাড়া কেকও বিক্রি করছি।
আরেক উদ্যোক্তা স্মৃতি আক্তার জানান, কলাগাছ, পাট ও হোগলা পাতা দিয়ে তৈরি পণ্য বিক্রি করছি। আমাদের পণ্য দেশের বাইরেও পাঠিয়ে থাকি। মেলায় বিভিন্ন পণ্য রয়েছে আমাদের স্টলে। বিশেষ করে ব্যাগ, ফুলের টপ ও বাক্সসহ নানা সামগ্রী।
মেলায় ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী সুমাইয়া জানায়, মেলায় এসে খুব ভালো লাগছে। মায়ের সঙ্গে এসেছি। খেলনা কিনেছি এবং ফুচকা খেয়েছি।
আরেক শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার জানান, বান্ধবীদের সঙ্গে মেলায় ঘুরতে এসেছি। খুব ভালো লাগছে। বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেছি। খুব আনন্দ করেছি।
বিজয় মেলা উদ্বোধনের পর ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যা এ প্রতিবেদককে জানান, ‘বিজয় দিবসে দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়েছে। তিন দিনব্যাপী বিজয় মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে নারী উদ্যোক্তারা নিজেদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বসেছেন। উৎসবের আমেজ ধরে রাখতেই এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে মেলার প্রদর্শনী। সন্ধ্যা থেকে মেলার মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। স্থানীয় শিল্পীরা এখানে সংগীত পরিবেশন করেন।
আ.দৈ/এআর/রানা