রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫,
১ আষাঢ় ১৪৩২
ই-পেপার

রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
বিনোদন
আজও শাবনূর চর্চিত একটি নাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
Publish: Tuesday, 17 December, 2024, 5:20 PM  (ভিজিট : 71)

মাত্র ১৪ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করা শাবনূর টানা দেড় যুগ এই মাধ্যমে কাটিয়ে দিয়েছেন। বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করে সমসাময়িক নায়িকাদের মধ্যে ঢালিউডের সেরা আসনটি নিজের করেও নিয়েছিলেন। 

তবে এক যুগের বেশি সময় ধরে অনিয়মিত তিনি। বিয়ে ও সংসারী হয়েছেন। থাকা হয় দেশের বাইরেও। পরিবারের সবাইকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে তার জীবনযাপন। মাঝেমধ্যে ঢাকায় আসেন। গেল বছরও যেমনটা এসেছিলেন। এরপর তাকে নিয়ে ছবির ঘোষণাও এসেছিল।

দীর্ঘ অভিনয়জীবনে শাবনূর অভিনয় নিয়ে যতটা প্রিয় হয়েছিলেন, নানা স্ক্যান্ডালও তাকে জেঁকে ধরেছিল। তবে এসবকে পাত্তাই দিতেন না ঢালিউডের এই দাপুটে নায়িকা।

শাবনূর বলেন, নায়িকার জনপ্রিয়তা মানে, তাকে নিয়ে আলোচনা হবে। সমালোচনা হবে। স্ক্যান্ডাল হবে। জনপ্রিয় তারকাকে ঘিরে গালগল্প শুনতেও ভক্ত এবং সাধারণ মানুষের ভালোই লাগে। আমি কোনো দিন স্ক্যান্ডাল নিয়ে বিচলিত ছিলাম না। আমি মনে করি, যে তারকার জনপ্রিয়তা যত বেশি, তাকে ঘিরেই সবচেয়ে বেশি আলোচনা–সমালোচনা থাকবে।

শাবনূরকে নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন কম হয়নি। তারকার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ঘিরেও গুঞ্জনের ডালপালা ছড়িয়েছিল। তবে শাবনূর আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, তিনি ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী অনীক মাহমুদের সঙ্গে আংটি বদল করেন। পরের বছরের ২৮ ডিসেম্বর তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এর পর থেকেই ধীরে ধীরে চলচ্চিত্রে অনিয়মিত হয়ে পড়েন শাবনূর। 

বিয়ের পর ভাই ও বোনদের মতো শাবনূরও স্বামী অনীককে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস শুরু করেন। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর শাবনূর-অনীক দম্পতির ছেলে আইজান নিহানের জন্ম হয়। 

২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি অনীক মাহমুদের সঙ্গে শাবনূর বিবাহবিচ্ছেদের খবর জানান। বর্তমানে সন্তানকে নিয়ে স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়াতেই বসবাস করছেন বাংলা চলচ্চিত্রের একসময়ের সুপারহিট এই নায়িকা।

ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের সময় অস্ট্রেলিয়ায় কাটে কীভাবে প্রসঙ্গে নায়িকা বলেন, আমার তো ভাই-বোন-মাসহ সবাই এখন অস্ট্রেলিয়াতে থাকেন। এক যুগের বেশি সময় এখানে থাকার কারণে অনেক বন্ধুবান্ধবও জুটেছে। তাদের সঙ্গে আড্ডা হয়। ঘুরতে যাই। 

আমি নিজে ড্রাইভ করতে পছন্দ করি। বন্ধুরা ব্যস্ত থাকলে আমি ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বের হই। তা ছাড়া আমার ছেলের স্কুল আছে, তার দেখভাল সবই আমাকে করতে হয়। ক্রিকেট ওর প্রিয় খেলা। 

সময় পেলে আমরা মা–ছেলেসহ অন্যরা মিলে মাঠে গিয়ে খেলা দেখি। আমার কাছে তো মনে হয়, সময় আরও কম হয়। সে হিসেবে বলতে পারি, পরিবার, সাংসারিক নানান কাজকর্ম এবং বন্ধুবান্ধব মিলে সময়টা দারুণ কাটে।

নতুন করে সংসার শুরুর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না বিষয়ে শাবনূর বলেন, এ ধরনের কোনো চিন্তা আপাতত নেই। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়া যেকোনো নারীর সুখকর অভিজ্ঞতা নয়। তাই স্বামীকে ডিভোর্স দিতে হয়েছে আমার। 

অনেকে মনে করেন, একবার কারও প্রতারণার শিকার হলে আর কোনো পুরুষ মানুষকে বিশ্বাস বা বিয়ে করা যায় না। এটি ভুল ধারণা। ভালো–মন্দ পৃথিবীর সবকিছুতেই আছে। তাই বলে ভালো মানুষ যে আর পাওয়া যাবে না, তা কিন্তু নয়। 

তবে বিয়ে নিয়ে আমার আপাতত আগ্রহ না থাকার পেছনে আমার সন্তান। আইজানকে মানবিক মূল্যবোধের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাটাই আমার আপাতত স্বপ্ন, চিন্তা। ওর বেড়ে ওঠার এ সময়টায় আমাকে সবচেয়ে বেশি দরকার।

জীবনের ৪৫ বছর পেরিয়ে আজ ৪৬–এ পা দিলেন নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। আজও পরিচালকেরা তাকে নিয়ে ভিন্ন রকম গল্পের চিন্তাভাবনা করেন। 

বছরের পর বছর জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এই নায়িকার বিশেষ দিনটি ঘিরেও ভক্ত–শুভাকাঙ্ক্ষীর থাকে উৎসাহ ও উন্মাদনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্লভ সব স্থিরচিত্র ও ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করেন। লেখা হয় নানান কথা। এসবে শাবনূর অনুপ্রাণিত হন। ভালোবাসা নতুন করে উপলব্ধি করেন।

শাবনূর বললেন, সবাই আমাকে এখনো এতটা ভালোবাসে, এই দিনে সেটা আবার নতুন করে উপলব্ধি হয়। রাত ১২টা বাজতে না বাজতেই ফোনে এসএমএস আসে, অনেকে কথাও বলে। ফেসবুকে কত সুন্দর সুন্দর কথা লেখে। সহকর্মীদের ভালোবাসায়ও আমি মুগ্ধ। কেউই আমাকে বুঝতে দেয় না, অনেক দিন কাজে নেই। 

দেশের মানুষের মনে শাবনূর হয়ে জায়গা করতে পেরেছি। সবাই আজও নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে, এর চেয়ে বড় অর্জন আর কীই-বা হতে পারে। ফেলে আসা জীবনের দিকে তাকালে দেখতে পাই, আমি যা চেয়েছি, তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি। মানুষের এই ভালোবাসা আমাকে আপ্লুত করে।

বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয়দক্ষতা শাবনূরকে দর্শকমনে জায়গা যেমন দিয়েছে, তেমনি নায়িকাদের কাছেও আদর্শ করে তুলেছে। এ প্রজন্মের নায়িকাদের কেউ কেউ তাই চলচ্চিত্রে তাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে শাবনূরের নামটিই বলে থাকেন। 

১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর শাবনূরের জন্ম যশোরের শার্শা উপজেলায়, তার বাবার নাম শাহজাহান চৌধুরী। তিন ভাই-বোনের মধ্যে শাবনূর বড়। শাবনূরের ছোট বোনের নাম ঝুমুর, ভাই তমাল। 

পারিবারিকভাবে শাবনূরের নাম রাখা হয় কাজী শারমিন নাহিদ নূপুর। পরে কাজী শারমিন নাহিদ নূপুর নামটি পাল্টে চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশাম রাখেন শাবনূর। ১৯৯৩ সালে এই পরিচালকের ‘চাঁদনী রাতে’ ছবির মাধ্যমে ঢালিউডে পথচলা শুরু হয় তার।


আ. দৈ/ সাম্য 
আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে ১৫০ পর্যটক নিয়ে ভেঙে পড়ল সেতু, স্রোতে ভেসে গেছেন অনেকে
ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৪৯
ইসরাইলি আগ্রাসন প্রতিরোধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান
কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যায় ও দক্ষিণখানের কাওলায় রাজউকের মোবাইল কোর্ট
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন: ইশরাক
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

আগতাড়াইল মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উপহার সামগ্রী বিতরণ
ঢাকা উত্তরের কৃষকদল নেতা রাফেলসহ কয়েকজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
‘আমার বুড়ো বাপকেও তুই ছাড়িসনি’ বলে আওয়ামী লীগ নেতাকে গণধোলাই
ডিএনসিসির উত্তরায় দিয়াবাড়ি কোরবানির পশুর হাটের বর্জ্য এখনো পড়ে রয়েছে
বিমান বিধ্বস্তে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন এক যুবক
বিনোদন- এর আরো খবর
close
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মাসুদ আলম

প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : ajkerdainik$gmail.com
About Us    Advertisement    Terms & Conditions    Privacy Policy    Copyright Policy    Circulation    Contact Us   
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝