কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন মো. খুরশীদ আলম ও জাকির হোসেন চৌধুরী এবং শাহীনুল ইসলাম। তিন শূন্য পদের বিপরীতে তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এর মধ্যে মো. খুরশীদ আলম তিনি ডেপুটি গভর্নর হিসেবে ছিলেন। তিনি আবার পুনরায় নিয়োগ পাচ্ছেন।
গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সংস্কার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে বাংলাদেশে ব্যংকের গভর্নরসহ তিন ডেপুটি গভর্নর পদত্যাগ করতে হয়েছে। এর মধ্যে গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুরকে।
আর এখন এই তিন ডেপুটি গভর্নরকে শিগগিরই নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে। বর্তমান
সার্চ কমিটির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। এ সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টা ড.
মোহাম্মদ ইউনুস তাদের নিয়োগে সই করে আদেশ জারির করবেন বলে জানা গেছে।
তিন ডেপুটি গভর্ণর মধ্যে খুরশীদ আলম সদ্য বিদায় ডেপুটি গভর্ণর ছিলেন। এর
আগে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক-১ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি
বিএনপি করার কারণে তাকে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছিলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের
নির্বাহী পরিচালক-১ থাকার পরেও তাকে বাদ দিয়ে অন্যজনকে ডেপুটি গভর্ণর করা
হয়েছে। পরপর দুইবার তাকে ডেপুটি গভর্ণর হতে বঞ্চিত করা হয়েছে। বিএনপি করার
পাশাপাশি এস আলম গ্রুপের ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণও আটকিয়ে দিয়ে ছিলেন তিনি।
এছাড়া সালমান এফ রহমানের জনতা ব্যাংকের ঋণও তিনি আটকিয়ে দিয়ে ছিলেন।
ফলে এদের রোষানলে পরে দীর্ঘদিন তার পদোন্নতি হয়নি। পরে মামা মুক্তিযোদ্ধা থাকার কারণে তার সুপারিশে ডেপুটি গভর্ণর হন তিনি। কিন্তু আওয়ামী লীগের পতনের পর আর্থিকখাতে সংস্কারে হাত দিয়েছেন অন্তবর্তিকালীন সরকার। এতে ভুল বোঝাবুঝিতে তাকেও পদত্যাগ করতে হয়েছে। এখন তিনি আবার ডেপুটি গভর্ণও হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন। জাকির হোসেন চৌধুরী বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক-১ হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনিও ডেপুটি গভর্ণর হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন। এছাড়া সাবেক বিএফআইইউয়ের ডেপুটি হেড ও নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম শাহীনুল ইসলামকে বিএফআইইউয়ের প্রধান র্কমর্কতা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে।
আ. দৈনিক / কাশেম