ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) থেকে জোরপূর্বক ও বেআইনিভাবে চাকুরিচ্যুত ২৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারিকে চাকুরিতে পুনঃবহাল এবং তাদের যাবতীয় বেতন-ভাতাসহ সার্ভিস বেনিফিট প্রদান সংক্রান্ত আবেদন আগামী ১ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোট ।
গত বুধবার (০৭ নভেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি মুবিনা আসাফ-এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের ডিভিশন বেঞ্চ এক শুনানি শেষে এই নির্দেশ দেন। বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব, বাণিজ্য সংগঠনের মহাপরিচালক এবং এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসককে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গত ২৭ অক্টোবার পত্র অনুযায়ী কেন এব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না, এই মর্মে হাইকোর্ট রুল ইস্যু করেন। এফবিসিসিআইয়ের চাকুরিচ্যুত ২৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তাকে সহায়তা করেন এডভোকেট মোঃ আরিফুজ্জামান খান।
উল্লেখ্য যে, ২০২০ সালে দেশে করোনা মহামারির দূর্যোগময় সময়ে এফবিসিসিআইয়ের তৎকালীণ প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম সংগঠনের ২৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারিকে এফবিসিসিআইয়ের চাকুরি থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস রুলস-১৯৯০ অনুযায়ী তাদের প্রাপ্য সার্ভিস বেনিফিট থেকে নির্দয়ভাবে বঞ্চিত করেন। এ অন্যায় পদক্ষেপ এর বিরুদ্ধে কোন রকম আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার বিষয়েও তিনি বাধা দেন। এফবিসিসিআইয়ের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট মোঃ জসিম উদ্দিন এবং মাহবুবুল আলমও তাদের পুনঃবহালের কোনো উদ্যোগ নেননি।
কর্তৃপক্ষের চরম নিপীড়ন, অবৈধভাবে চাকুরিচ্যুতি এবং পাওনা বেতন-ভাতাদি সম্পূর্ণরূপে না পাওয়ায় মানসিক যন্ত্রণায় আর্থিক অনটনে ইতিমধ্যে এফবিসিসিআইয়ের কর্মকর্তা এ.এফ.আইনুল হুদা, ড্রাইভার মোঃ ফজলুল হক এবং সিকিউরিটি গার্ড আব্দুল বারেক হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেছেন। অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারি পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
আ. দৈ. / কাশেম/ রমজান