পটুয়াখালীর দুমকিতে টাকা আত্মসাৎ ও সম্পত্তি লিখে নিতে গর্ব ধারেনী মা মনোয়ারা বেগম (৭৫) কে অমানবিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে পাংগাশিয়া ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির সভাপতি ফজলু খাঁনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ৫'নভেম্বর দুপুরে দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আলগী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী মনোয়ারা বেগম (৭৫) সাত পুত্র সন্তানের জননী। এব্যাপারে ছোট ছেলে ওমর সানী দুমকি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে, সেনাবাহিনী ক্যাম্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের টাকা ও বাড়ির সম্পত্তি একাই ভোগ করতে চায় মনোয়ারা বেগম এর মেজো পুত্র ফজলু খাঁন। কিন্তুু মনোয়ারা বেগম (৭৫), স্বামীঃ মৃত রশিদ খানের মোট সাত পুত্র সেখানে সবাইকে বঞ্চিত করে মেঝো পুত্র ফজলু খাঁনের একার নামে টাকা পয়সা সম্পত্তি লিখে না দেয়ার অস্বীকৃতি জানান। এরই জের ধরে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং ট্রাংক ভেঙে সেনাবাহিনীর জমি অধিগ্রহনের নগত ৪,৯০,০০০ টাকা নিয়ে যায়।
এসময় আপন মা বাঁধা দিতে আসলে তাকে বেধড়ক মারধর করে। মনোয়ারা বেগম কে বাঁচাতে আসে তার ছোট ছেলের স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা নুপুর (২৬) তাকেও মারধর করে ডাকচিৎকার দিলে লাথি মেরে অজ্ঞান করে ফেলে। ঘরের বেড়া জাবালা কুপিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। ফজলু খাঁনের সহযোগী হিসেবে তার সাথে ছিলেন ছোট স্ত্রী নাহার (৩৫)। পরে অন্যান্য ভাইয়েরা এসে এবং স্থানীয় লোকজন আহত মনোয়ারা বেগম (৭৫) ও গর্ভবতী নারী নুপুর কে উদ্ধার করে দুমকি উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদাননকরে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে আহত বৃদ্ধা মা মনোয়ারা বেগম ও যুবতী গর্ভবতী নারী নুপুর হসপিটালের বিছানায় কাতরাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, ফজলু খাঁন পাংগাশিয়া ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির সভাপতি সে খুব প্রভাব বিস্তার করে চলছে। আশেপাশের লোকজন কিছু বলতে গেলে তাদের সাথে ও খারাপ আচরন ও মারধরের হুমকি ধামকি দেয়। প্রচন্ড বাজে ভাষা ব্যাবহারকারী ফজলু। মাকে মারধরের বিষয় জানতে চাইলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন ঘটনা সত্যি এর আগেও বৃদ্ধা মাকে মারধর করেছে। বিগত দিনে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এর লোক হিসেবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে চলছে।
সরকার পরিবর্তন হকেও এসব লোক এলাকায় এখনও কিভাবে প্রভাব বিস্তার করে চলছে এজন্য এলাকাবাসী হতবাক।আপন ভাইয়েরা, ফুফু, ফুফাতো ভাই সহ পরিবারের অন্যান্য সকলে ফজলুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আইনের কাছে সুবিচারের জন্য থানা ও সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও তারা বলেন পুরো বাড়ির ৭ কড়া জমির একাই ৩ কড়া জমি দখল করে বাসভবন ও দোকান নির্মাণ করে। এখন সকল সম্পত্তি লিখে না দিলে মনোয়ার বেগম কে মেরে ফেলতে পারে। সে যে কোন মূহুর্তে পরিবারের যে কাউকে হামলা করতে পারে নিরাপত্তাহীনতায় পুরো পরিবারটি।
এ ব্যাপারে ফজলু খাঁনকে না পেয়ে তার স্ত্রী নাহার বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বাড়ির বউ জায়গা জমি আমার স্বামী কতটুকু ভোগ করে আমি জানিনা। এখন আমার ঘর তুলছি দোকান তুলছি যখন ভাগাভাগি হবে তখন অন্য ভাইদের অংশ ছেড়ে দেয়া হবে। মারধরের বিষয় অস্বীকার করে বলেন এবিষয়ে আমার স্বামীর সাথে কথা বলুন।মুঠোফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে ফজলু খাঁন বলেন, ওরাও আমাকে মারধর করে এবং আমার টাকা নিয়ে গেছে। ছোটভাই ওমরসানি গাঁজা খায় গাঁজা বিক্রি করে। আমি ও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ আলম বলেন এঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আ. দৈ. / কাশেম / নাজিম