Publish: Friday, 9 August, 2024, 4:51 PM (ভিজিট : 58)
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউ ও হাসপাতালে এমন সময়ে কক্ষ দখলের ঘটনা ঘটেছে, যখন দেশে কোন সরকার ছিলো। আওয়ামী পন্থী চিকিৎসকরা অনেকেই দিয়েছেন গা ঢাকা। এরই মধ্যে গত বুধবার বিকেলে হাসপাতালটিতে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী পন্থী চিকিৎসক ডা. ফাহদিয়া আফরোজ ঝুমা। তিনি হৃদরোগ হাসপাতালের সদ্য সাবেক আরপি (রেসিডেন্ট পিজিশিয়ানস) এবং কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
আওয়ামী সরকার পতনের পর ডা. ফাহদিয়া আফরোজ ঝুমা হাসপাতাল সংলগ্ন ডক্টরস কোয়ার্টারস থেকে তার স্বামী কেন্দ্রীয় স্বাচিব নেতা এবং জন স্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. শাহ গোলাম নবী তুহিনসহ পরিবারের সদস্য নিয়ে গা ঢাকা দেন। গত ৫ ও ৬ আগষ্ট তিনি হাসপাতালে আসেননি। এমনকি ৭ আগস্ট অফিস সময়েও তিনি অণুপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৭ আগষ্ট বিকেলে তিনি হাসপাতালে এসে মধ্য ব্লকের ২১৫ নম্বর কক্ষটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করিয়ে নিজের মালামাল রেখে তালা ঝুলিয়ে দেন। ওই কক্ষটি তার নামে বরাদ্দ না থাকা সত্তে¦ও কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে অফিস সময়ের পরে জোর করে কক্ষটি দখল করে নেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন। হাসপাতাল সুত্র থেকে জানা গেছে ডা. ফাহদিয়ার জন্য মধ্য ব্লকের ২১৩ নং কক্ষটি বরাদ্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২১৫ নম্বর কক্ষটি আগে ভিভিআইপি কেবিন ছিল। সম্প্রতি হাসপাতাল বর্ধিতকরণ হলে এই কক্ষটিকে সিসিইউ'র (করনারি কেয়ার ইউনিট) মিটিং রুম হিসেবে রাখেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ডা. ফাহদিয়ার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে চিকিৎসক এবং কর্মচারীদের হয়রানি, দুরব্যবহার করা, যথা সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়া, মেডিসিন কম্পানিদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণসহ নানাবিধ অভিযোগ থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি। কারণ তিনি নিজে স্থানীয় এবং তার স্বামী কেন্দ্রীয় স্বাচিব নেতা।
কক্ষ দখলের জানতে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। আর ডা: ফাহদিয়া আফরোজ ঝুমা ফোন কেটে দেন। তবে দায়িত্বশীল পর্যায়ের একজন বলেছেন, ডা. ফাহদিয়া আফরোজ ঝুমা এই রুমটি পাওয়ার যোগ্য নন।
আ.দৈনিক/আরিফ