সাতক্ষীরা জেলার, শ্যামনগর উপজেলায় বিজিবি'র সদস্যরা সীমান্তবর্তী এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ উইনসিরিক্স সিরাপ এবং ভারতীয় অফিসার্স চয়েজ মদ উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৯০০ টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) বিজিবির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ০২ ডিসেম্বর এবং গত ০৪ ডিসেম্বর পৃথক অভিযানকালে ওইসব মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
গণমাধ্যমকে আরো জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নীলডুমুর ব্যাটালিয়নের (১৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ শাহারিয়ার রাজীব, পিএসসি এর নির্দেশনায় "দেবহাটা বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ মহসিন গাজী" এর নেতৃত্বে গত ০২ ডিসেম্বর আনুমানিক ০৫০০ ঘটিকায় "বসন্তপুর বেড়িবাঁধ এলাকায়" অভিযানকালে ৬৩১ বোতল ভারতীয় নেশাজাতীয় উইসিরিক্স সিরাপ এবং ০৫ বোতল ভারতীয় অফিসার্স চয়েজ মদ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও "শাখরা বিওপির টহল কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ" এর নেতৃত্বে আজ ০৪ ডিসেম্বর "ভাতশালা সুইচ গেইট" এলাকা থেকে ৫২৫ বোতল ভারতীয় নেশাজাতীয় উইনসিরিক্স সিরাপ উদ্ধার করেছে। স্থানীয় কুখ্যাত মাদক চোরাকারবারী মোঃ রফিকুল ইসলাম (নিধা কয়েল) এবং মোঃ রেজাউল ইসলাম নিজেদের যোগসাজসে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে বিজিবি'র টহল দলের আগমনের সংবাদ পেয়ে পূর্বেই "ভারতীয় নেশাজাতীয় উইসিরিক্স সিরাপ এবং ভারতীয় অফিসার্স চয়েজ মদ" ফেলে পালিয়ে যায় । জব্ধ করা মাদকদ্রব্য প্রচলিত আইন এবং নিয়মানুযায়ী সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।
নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন (১৭ বিজিবি) কর্তৃক এহেন সাফল্য একদিকে যেমন দেশের চোরাচালানী প্রতিরোধ অভিযানকে সহায়তা করছে, অন্যদিকে মাদক বিরোধী অভিযানে দেশের যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করছে। আরো উল্লেখ্য, স্থানীয় সকল পর্যায়ের জনগণের সহযোগিতার মাধ্যমে বর্ণিত সাফল্য দিন দিন আরো বৃদ্ধি করা যাবে বলে নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন (১৭ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ শাহারিয়ার রাজীব, পিএসসি মনে করেন।
এ সকল মাদকদ্রব্য উদ্ধারে সীমান্তবর্তী এবং স্থানীয় এলাকার সাধারণ মানুষ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বস্ত করেন এবং নিয়মিত এসব অভিযান পরিচালনার জোর দাবি করেন।
আ. দৈ./কাশেম