রাজধানীর মদের বারগুলো মানছে না কোন নিয়মনীতি। যে যার মত কাস্টমার ধরতে ব্যস্ত। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) নজরদারি ও অভিযান কোন কাজে আসছে না। অভিযোগ রয়েছে এসব বার ও আবাসিক হোটেলে ফ্যাসিস্টের দোসরদের নিরাপদ আস্তানায় পরিনত হয়েছে।
জানা গেছে, রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকার একটি রেস্টুরেন্ট লা ভিঞ্চি। টপ ফ্লোরে রয়েছে মদের বার। ১৬ জনের অনুমতি থাকলেও প্রতিরাতে তিন শতাধিক ব্যক্তিকে মদ্যপান করতে দেখা গেছে এখানে। একটি ফ্লোরের অনুমোদন থাকলেও কয়েকটি ফ্লোরে চলছে এ ব্যবসা। তাছাড়া লেটনাইটের অনুমতি নেই কিন্তু নিজেদের মত করে এবং প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে রাতভর চলছে সবই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ছাদে রেস্টুরেন্ট ও বার পরিচালনার পাশপাশি লাইভ গান ও অশ্লীল নৃত্য চলে এখানে। কাস্টমারদের মনোরঞ্জনের জন্য নিচের আবাসিক হোটেলে তরুনীদের পাঠানো হয়। এক সময় এই আবাসিক হোটেলটি দেহব্যবসার জন্য পরিচিত ছিল। রাজিব বাবু নামের এক ব্যবসায়ী পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ এটি পরিচালনা করতো। বর্তমানে রাজধানীতে আগের মত দেহব্যবসার জন্য আবানিক হোটেলগুলোর সংখ্যা কমলেও এই হোটেলে শুরু হয়েছে নিষিদ্ধ এসব কার্যকলাপ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, মাঝেমধ্যে অভিযান চালানো হয় ওখানে। পাশাপাশি নজরদারিও রয়েছে। কোন অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেয়া হয়। কিন্তু ডিএনসির কতিপয় কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চলায় নাম মাত্র অভিযান চলে এখানে।
লা ভিঞ্চির মালিক সাইদুল আলম টিটুর কাছে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর তিনি টিটু নয় বলে ফোন কেটে দেন।
মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, এসব বারের মালিকরা কোন নিয়ম মানেনা। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে উপর মহল থেকে ফোন আসে। তখন অভিযান পরিচালনাকারি কর্মকর্তারা পড়েন বিব্রত অবস্থায়। তবে এদেও বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
লা ভিঞ্চি রেস্টুরেন্ট ও বারের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন। তিনি বলেন, কি কি অপরাধকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে তা খোঁজ নেয়া হচ্ছে। কোন অনিয়ম পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবেনা বলে জানান তিনি।