রাজধানীর একটি জমি কেনাবেচা প্রতিষ্ঠানের মালিকের সন্ত্রাসী বাহিনীর নির্যাতন, হয়রানিসহ সন্ত্রাসী আগ্রাসনের হাত থেকে বাঁচতে এবং নির্যাতন, চাঁদাবাজী, জবর দস্তিকারিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন দক্ষিণখান মৌজার জমি মালিকরা। এক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, ভূমি উপদেষ্টাসহ সংর্শ্লিষ্টদের জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর উদ্দিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ভুক্তভোগী জমি মালিকরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এসএম সানাউল্লাহ, সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, মনোয়ারা বেগম, মো. আলাউদ্দিনসহ অন্যান্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মনোয়ারা বেগম জানান, আশিয়ান সিটির মালিক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া তার সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে জোর করে আমাদের মালিকানাধীন বসতবাড়িসহ জমি দখল করার পাঁয়তারা করছে। ইতোপূর্বে আশিয়ান সিটির প্রতারণার শিকার হয়ে মৃত্যুর ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। সন্ত্রাসীরা ভিটে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছে।
কেউ কেউ প্লট কিনেও তা বুঝে পাচ্ছেন না বরং প্লট বুঝিয়ে দেয়ার কথা বললে প্রাণনাশের হুমকী দেয়া হচ্ছে। এভাবে শত শত মানুষের শতশত বিঘা জমি দখল করে নিয়েছে আশিয়ান সিটি। তাদের নির্যাতন, অত্যাচার, হয়রানি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, বসত বাড়ী ভাংচুর, জাল দলিলে জমি দখল করতে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণসহ সন্ত্রাসী আগ্রাসনের হাত থেকে দক্ষিণখান মৌজার ভূমি মালিকদের জমি ভিটে-বাড়ী ও প্রাণ রক্ষার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও জানান, বাড়ী ঘর নির্মাণ ও জমি ব্যবহার করতে গেলে নজরুলের সন্ত্রাসী বাহিনী সরকারি আনসার সদস্যদের ব্যবহার করে বাড়ী-ঘর, সীমানা পিলার ও দেয়াল ভেঙ্গে দিয়ে জিনিসপত্র চুরি ও ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তারা চাঁদাবাজি করা ছাড়াও নৈশ প্রহরী দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জমি ও ভিটেবাড়ী থেকে উচ্ছেদ করে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা চালায়। পূর্বে নজরুল আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের দিয়ে দখলবাজী করাতো এখন সে একইভাবে বিএনপি ও এনসিপি নেতা-কর্মীদের নাম ভাঙ্গিয়ে গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামী হয়েও জামিন পেয়েছে।
তিনি জানান, জুলাই - আগষ্ট আন্দোলনে এক ডজনেরও বেশি হত্যা মামলার আসামী হয়েও নজরুল, সাইফুল, জাহিদুল এখনও বহাল তবিয়তে। আর এই আন্দোলনে ছাত্রদের সমর্থক হয়ে আন্দোলনে যুক্ত থেকেও পথে পথে ঘুরছে ভুক্তভোগীরা। নিরুপায় হয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ চাইছেন ভুক্তভোগী জমি মালিকরা।