দেশের ক্ষমতাসীন দলের দোসর ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নজরুল ইসলামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো দখল করার জন্য দুদকসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ব্যবহার করেছেন।
এছাড়া তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে। এদিকে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সালমান এফ রহমান নজরুল ইসলামকে জিম্মি করে তার কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ নথিতে স্বাক্ষর করিয়েছিলেন। এছাড়া, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি থেকে তাকে অবৈধভাবে সরিয়ে দেয়া হয় এবং তার শেয়ারসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করা হয়।
২০২২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, ডিবি পুলিশ নজরুল ইসলামকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়, যেখানে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং মানসিক ও শারীরিকভাবে চাপের মুখে ফেলা হয়। এরপর, সালমান এফ রহমানের নির্দেশে ব্যবসার বোর্ড ভেঙ্গে নতুন কমিটি গঠন করা হয়, যাতে নজরুল ইসলাম আর তার প্রতিষ্ঠানের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারে।
নজরুল ইসলাম দীর্ঘ সময় জাপানে থাকলেও তার মাতৃভূমির প্রতি আগ্রহে বাংলাদেশে বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেন, যা লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। তিনি ফারইস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স, ফারইস্ট ইসলামী সিকিউরিটিজ, ফারইস্ট প্রোপার্টিজ, রামিশা কোল্ড স্টোরেজ, অপ্সরা হোল্ডিং, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সহ নানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেছেন।
তবে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী ব্যক্তির হস্তক্ষেপে তার প্রতিষ্ঠানগুলো দখল করা হয়েছে এবং তাকে পরিবারসহ দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টের রিট আদেশের পর তিনি বাংলাদেশে ফেরেন, কিন্তু তখনও তার ওপর মিথ্যা মামলা ও সামাজিকভাবে হেয় প্রচারণা চালানো হয়।
নজরুল ইসলামের দাবি, তার উপর করা মামলা ও প্রতিষ্ঠান দখলের পেছনে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সরাসরি জড়িত। এছাড়া, তাকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।