কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার ঘটনায় ‘মৌখিক নির্দেশনায়’ তদন্ত শুরু করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সাজিদের বাবার চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে সিআইডিকে এই তদন্তভার দেয়া হয়। ইবি থানা পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নিজেদের মত করে তথ্য সংগ্রহ করছেন বলে জানিয়েছেন ইবি থানা। বুধবার (৬ আগস্ট) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা ও সিন্ডিকেট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ‘সাজিদ হত্যা ইস্যুতে তার বাবা আহসান হাবিবুল্লাহ ইবি থানায় গত ৪ আগস্ট মামলা দায়ের করেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা সংস্থার মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত সম্পন্ন করার দাবি জানান। থানা পুলিশ ও পিবিআই যৌথ সহযোগিতায় মৌখিক আদেশের ভিত্তিতে সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে।’
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘সাজিদের বাবা বাদী হয়ে এজাহার (মামলা নং-২) হিসেবে রুজুর করেছে। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১/৩৪ ধারায় রুজু করা হয়েছে।’
ইবি থানার তদন্ত ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশনায় সিআইডি কাজ শুরু করে দিয়েছে। তবে থানা পুলিশ ও পিবিআই যৌথ সহযোগিতা করে যাচ্ছে।’
এদিকে সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, ‘গত ৪ আগস্ট জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাজিদের ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সাজিদের বাবার চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে সিআইডিকে তদন্তভার দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এখনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন লিখিত প্রজ্ঞাপন জারি করেননি।’
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বিকেল পৌঁনে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে সাজিদ আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ৩ আগস্ট প্রাপ্ত রিপোর্টে সাজিদকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। সাজিদ গত ১৬ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা (আনুমানিক) উল্লেখ ছিল।
আ. দৈ./কাশেম