চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে, কিন্তু বাঁচতে পারেননি। পাটনার অভিজাত পারস হাসপাতালের ভেতরেই চলল শ্বাসরুদ্ধকর এক বন্দুকযুদ্ধের দৃশ্য! রীতিমতো সিনেমার কায়দায় আইসিইউতে ঢুকে গুলি করে খুন করা হলো কুখ্যাত গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্রকে।
মাত্র ২৫ সেকেন্ডে শেষ পুরো অভিযান! পাঁচ যুবক করিডর ধরে হেঁটে ঢুকে পড়েন রুম নম্বর ২০৯-এ। প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। মুহূর্তে চলতে থাকে একের পর এক গুলি—মোট ১২টি। চন্দন মিশ্র লুটিয়ে পড়েন হাসপাতালের বেডে। আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন নার্স ও রোগীর আত্মীয়রা।
ঘটনার নেপথ্যে পুরোনো শত্রুতা। বক্সারের চন্দন আগে কাজ করতেন শেরু গ্যাংয়ের সঙ্গে। পরে গ্যাং বিভক্ত হলে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তাক্ত সংঘর্ষের শুরু। এর জেরেই আজকের এই খুন বলে মনে করছে পুলিশ।
তদন্তে নেমে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীও রয়েছেন সেই তালিকায়। পাটনার আইজি জীতেন্দ্র রানা জানাচ্ছেন, দুষ্কৃতকারীরা মোটরসাইকেলে এসে খুন করে মোটরসাইকেলেই পালান। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে স্পষ্ট মুখ। শিগগির ধরা পড়বেন খুনিরা।
প্রশ্ন উঠছে—সুরক্ষিত বেসরকারি হাসপাতালের ভেতরে পিস্তল হাতে সন্ত্রাসীরা ঢুকে পড়ল কীভাবে? কে দিল এই সুযোগ? হাসপাতালের ভেতর থেকেই কি ছিল ভেতরের লোক?
এই মুহূর্তে তদন্ত চলছে জোরকদমে। পুলিশের দাবি, ষড়যন্ত্রের জাল ছিঁড়তে আর বেশি সময় লাগবে না। কিন্তু প্রশ্ন একটাই—হাসপাতাল কি এখন খুনের নতুন মঞ্চ?