রাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়ী এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধ বিমান প্রশিক্ষণকালে বিধ্বস্তের ঘটনায় মাকিন (১৪) নামের আরও এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। নিহত এই শিক্ষার্থী মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। দগ্ধ আরেক শিশু আইমান (১০) মারা গেছে। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। আইমান জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিল।
আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১টা ৫ মিনিটের দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৩ জনে। জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাকিন নামের আরও একজন মারা গিয়েছে। তার শরীরে ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। মাকিনের বাবা মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আমার দুই ছেলের মধ্যে ছোট মাকিন। আমাদের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের গাছা এলাকায় জানাজার পর তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গত সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান। এতে ওই যুদ্ধবিমানের পাইলট, স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৫০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ নিয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১৪ জন মারা গেল। মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, আজ শুক্রবার সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা যায় আইমান।
তার আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন জানান, চিকিৎসাধীন ৪২ জনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আইমান মারা যাওয়ার পর এখনও বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও ৪১ জন। এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট ৩৩ জন মারা গেছে। এখনও রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৫১ জন।
আ. দৈ./কাশেম