‘টাকা তুলে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনব’— এমন মন্তব্য করা তরুণ শাকিল মিয়াসহ সচিবালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামশেদ আলম এ আদেশ দেন।আসামিরা হলেন, বাহ্মণবাড়িয়ার বর্ডার বাজার মধ্যপাড়া এলাকার আশিকুর রহমান তানভীর (১৯), বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার দেহেরগতী গ্রামের জেফরী অভিষেক সিকদার (২১), কুমিল্লার লাকসাম থানার পশ্যিমগাঁও গ্রামের আবু সফিয়ান (১১) ও একই জেলার মুরাদনগর থানার মো. শাকিল মিয়া (১৯)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই, নিরস্ত্র) মাহমুদুল হাসান আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ‘গতকাল বুধবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে শাকিল বলেছিল সে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনবে। তাদেরকে আমরা আদালতে পাঠিয়েছি। এ ছাড়া, সচিবালয়ের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
আজ আদালতে গ্রেপ্তারের আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনা, যেখানে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে। গত ২২ জুলাই রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ‘মার্চ টু শিক্ষা মন্ত্রণালয়’ কর্মসূচি পালিত হয়। তারা প্রথমে শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষাভবনের দিকে মার্চ করলেও পরে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেয় এবং জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করে। পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে প্রায় ১,০০০ থেকে ১,২০০ জন শিক্ষার্থী ও দুষ্কৃতিকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের মূল ফটকে হামলা চালায়।
আবেদনে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যদের ওপর হামলা চালায় এবং তাদের গুরুতর আহত করে। তারা সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং ভীতি ও হুমকি প্রদান করে।
তদন্ত কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। মামলাটি তদন্তাধীন এবং তদন্ত সুষ্ঠু করার স্বার্থে আসামিদের জেলহাজতে রাখা প্রয়োজন। একই সঙ্গে আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।